শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জার্মান দূতাবাসের সহযোগিতায় জিটগিস্ট: ট্রিপলওশপ অয়োজন করেছে গ্রামীণফোনের হোয়াটবোর্ড

Sumon Chowdhury
মে ১৭, ২০১৮ ৫:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আজকের প্রভাত প্রতিবেদক :‘লেটস বিল্ড দ্য নেক্সট বিগ স্টার্টআপ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে সম্প্রতি ‘জিটগিস্ট: ট্রিপলওশপ’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করেছে হোয়াইট বোর্ড, জার্মান দূতাবাস ও বেটার স্টোরিজ। দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের নতুন আকৃতিদানে সম্প্রতি গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয় জিপি হাউজে কর্মসূচিটি অনুষ্ঠিত হয়।
‘জিটগিস্ট ডট ট্রিপলও’ উদ্যোগে পলিটেকনিক, সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষি ও ব্যবসায় খাত থেকে শীর্ষ মেধাবীরা জড়ো হয়েছেন ১০টি নতুন স্টার্টআপের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার (সিটিও) এবং প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) হিসেবে যোগদানের জন্য।
এ কর্মসূচির প্রতিযোগিতায় সর্বমোট ২১টি দল নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে এবং বাংলাদেশ ও জার্মানির স্টার্টআপ ইনোভেশন বিশেষজ্ঞদের সামনে নিজেদের ধারণা উপস্থাপনের সুযোগ পায়। বিভিন্ন সেশনের পর তারা নিজেদের ধারণার সুযোগ ও প্রতিকূলতা নিয়ে আলোচনা করে আলোচনা করে ও ধারণার উপস্থাপন করে। ‘ট্রিপলওশপ’ শেষে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি পরবর্তী পর্বে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন এবং তাদের হাতে পরবর্তী পর্ব ‘ট্রিপলও পিচ’- এ যাওয়ার টিকেন তুলে দেন। নির্বাচিত ১০টি দল হলো: গ্রিন ফার্মার, কোড বেজ, মেড এইড, ড্রিম হাই, সেলস ডেক, স্টাডি বাডি, পৌঁছাও, ট্যাক্সটো এবং ভিলেজ ফ্যাক্টরি। এ কর্মসূচি নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি বলেন, আমরা কোন কিছু করার ক্ষেত্রে ‘রেড ওয়ে’ পন্থায় বিশ্বাসী। দেশের তরুণরা আমাদের সময়ের বড় কিছু সমস্যা সমাধানে কাজ করছে এবং গ্রামীণফোন সবময়ই তাদের পাশে রয়েছে। আমরা সিটিও ও সিএমওদের শীর্ষ দশকে দেখতে চাই যারা নতুন ১০টি স্টার্টআপ গড়ে তুলবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মাইকেল সোলথাইস ‘০০০পিচ’ শীর্ষক ধারণা প্রদর্শন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘জিটগিস্ট০০০’ নিয়ে জার্মানী ও বাংলাদেশ একসাথে কাজ করছে যা সত্যিই আনন্দের। বাংলাদেশের উদ্ভাবনী মেধা এবং জার্মানির অভিজ্ঞতার প্রযুক্তিভিত্তিক অংশীদারিত্ব বিশ্বব্যাপী যুগান্তকারী উদ্ভাবনের দিকেই ধাবিত করবে।‘‘০০০পিচ’-এ বিচারকদের সামনে শীর্ষ ১০টি দল নিজেদের ধারনাগুলো তুলে ধরে। বিচারকদের মধ্যে ছিলেন গ্রামীণফোনের চিফ স্ট্র্যাটেজি এ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন অফিসার কাজী এম হাসান, গ্রামীণফোনের ভারপ্রাপ্ত চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার সৈয়দ তানভির হুসাইন, কালচার ডিজাইন ওআরজি-এর প্রতিষ্ঠাতা ইভা মারিয়া জোল, ফাউন্ডার অব সিলিকন অ্যালি ট্র্যাভিস টোড, গ্রামীণফোনের হেড অব বিজনেস ইনোভেশন সৈয়দ আশিকুর রহমান, ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান দূতাবাসের ইনেস নিডহার্ট, এমই সোলশেয়ার লি. (বাংলাদেশ)-এর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ড্যানিয়েল সিগানোভিচ এবং বেটারস্টোরিজ লিমিটেডের ডিরেক্টর সেলিমা হোসেন।
উক্ত প্রোগ্রামের বিজয়ী হিসেবে বিবেচিত হয়েছে কোড বেজ, ইজি ফায়ার, স্টাডি বাডি ও ট্যাক্সটো। এছাড়াও, প্রশিক্ষকদের সুপারিশক্রমে তালিকার শীর্ষে রয়েছে ড্রিম হাই, সেলস ডেক ও ভিলেজ ফ্যাক্টরি।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে গ্রামীণফোন গর্ব বোধ করে এবং উদ্ভাবনী ধারনাগুলো উপযুক্ত ও সঠিক দিক নির্দেশনার মাধ্যমে সঠিকভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এসকল তরুণ মেধাবীদের পাশে আমরা সবসময়ই আছি এবং থাকবো।

Please follow and like us:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial