ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের দক্ষিণ কহরপাড়া গ্রামে নিপা আক্তার নামে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার ঠাকুরগাঁও থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করে। নিপাকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে বুধবার তার পরিবারের পক্ষ থেকে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ৩জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। আটককৃতরা হলেন, শাশুড়ী নাজমিন আক্তার, ননদ ইসমত আরা ও তার স্বামী কামরুজ্জামান। পরে বিকেলে ময়না তদন্ত শেষে নিপার মরদেহ তার পিতার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অভিযোগে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দক্ষিণ কহরপাড়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে আলিফ হোসেন (৩৫) এর সাথে সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়নের খলিষাকুড়ি গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে নিপা আক্তারের ৭ বছর পুর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর একটি কন্যা সন্তান হয় তাদের। বিয়ের পর থেকেই নিপার সাথে আলিফের কলহ লেগেই থাকে। এ নিয়ে উভয় পরিবারের একাধিকবার শালিস-বৈঠক হয়। এরই জেরে নিপাকে মঙ্গলবার রাতে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে দাবি নিপার পিতার।
এলাকাবাসী জানায়, মঙ্গলবার রাতেই দেবীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন ও নিপার পিতা খলিলুর রহমানকে নিপার মৃত্যুর সংবাদ দেয়া হয়। তারা উভয়ে রাতেই নিপার শ্বশুড়বাড়ী দক্ষিণ কহরপাড়ায় যান। আলিফের পরিবারের লোকজন নিপা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। ঘটনার পর থেকেই নিপার স্বামী আলিফ হোসেন পলাতক রয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ মিঞা জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর সঠিক রহস্য জানা যাবে। এ বিষয়ে নিপার পিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।