নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা ও পানির সংকট নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের তোপের মুখে পড়লেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা (এমডি) পরিচালক তাকসিম এ খান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, আগামী বছর থেকে রাজধানীতে জলজট কমবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একাদশ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ওয়াসার এমডি, মেয়র সাঈদ খোকন ও কাউন্সিলররা।
ওয়ার্ড কাউন্সিলররা অভিযোগ করেন, ওয়াসার ব্যর্থতার কারণে নাগরিকদের সামনে তাদের মুখ দেখানো দায় হয়ে পড়েছে। তবে ওয়াসার দাবি, আগামী বছর অবস্থার উন্নতি হবে।
একটু বৃষ্টি হলেই ঢাকা মহানগরী জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। এ মৌসুমে বৃষ্টিপাত দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় নাগরিক ভোগান্তি পৌঁছায় চরমে। এ ছাড়া সুপেয় পানি ও সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনায় আছে নানা সংকট। এসব সমস্যার ভয়াবহ রূপ দেখে নাগরিকদের সামনে বিব্রত হচ্ছে বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা।
এসব সমস্যার দায় ওয়াসার এমডি সরাসরি না নিয়ে এর পেছনে কারণ হিসেবে দায়ী করলেন তিনটি বিষয়কে।
তাকসিন এ খান বলেন, ‘এক. আমাদের ১২ পার্সেন্টের জায়গায় মাত্র ২ পার্সেন্ট পানির আধার আছে—বৃষ্টির পানিকে ধরে রাখার জন্য ডোবা-নালা। দুই. আমাদের সমস্ত ঢাকা শহরটা ঢাকা। বৃষ্টির পানি মাটির নিচে যাওয়ার কোনো সুযোগ পায়নি এবং আমাদের রিচার্জও করতে দেয় না। তিন. নিম্নাঞ্চলগুলো, ড্যাপে যা বলা আছে, সব ভরাট। ঢাকার পানি বেরিয়ে যাওয়ার পথগুলো বন্ধ। এই হচ্ছে আমাদের বাস্তবতা।’
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আগামী বছর এই ভোগান্তি কমবে। তিনি আরো বলেন, ‘যেসব এলাকায় পানি সরবরাহ হচ্ছে না এবং সে সমস্ত এলাকায় নোংরা পানি যাচ্ছে এই দুটি সমস্যা, অন্ততপক্ষে এই দুটি সমস্যা আমরা শুষ্ক মৌসুমে, এই ঢাকা ওয়াসার সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং সহযোগিতায় আমরা তা সমাধান করতে পারব বলে আমরা আশা ব্যক্ত করছি।’
ওয়াসার এমডি বলেন, ‘আগামী বছর এবারের থেকে জলজট মাত্রা কমবে। বাড়বে না।’
আজ ধুলা-বালি কমাতে মহানগরীর প্রধান সড়কে পানি ছিটানো কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সাইদ খোকন। আগামী এপ্রিল পর্যন্ত ৯টি পানির গাড়ির মাধ্যমে সকাল ৬টা হতে ৮টা এবং দুপুর ১টা হতে ৩টা পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার রাস্তায় পানি ছিটানো হবে বলে তিনি জানান।