আজকের প্রভাত প্রতিবেদক : দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা বিপিও খাতের অবস্থানকে তুলে ধরার লক্ষ্যে রাজধানীতে শুরু হলো দুইদিনের ‘বিপিও সামিট সম্মেলন-২০১৮।
রবিবার ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এই সামিটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাক্য সভাপতি ওয়াহিদ শরীফসহ দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিদরা।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদফতর এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) যৌথ উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী এ সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আমরা ৯৯৯ সেবার চমৎকার সাফল্য দেখেছি। কয়েকদিন আগে আমি ৩৩৩ সেবা কার্যক্রমও উদ্বোধন করেছি। এসবই কিন্তু সরকারি কাজ বেসরকারি উদ্যোগে করিয়ে নেওয়ার উদাহরণ। কেবল আউটসোর্সিং-এর বিষয় নয়, সরকারি সফটওয়্যার ক্রয়ের ক্ষেত্রেও দেশীয় সফটওয়্যারকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য আমি সবাইকে অনুরোধ করবো। আমাদের দেশে তৈরি সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন বিদেশীরা আর আমাদের দেশের মানুষ সেগুলো ব্যবহার করতে পারবে না, সেটা কেমন করে হয়। দরকার হলে সরকারি সফটওয়্যার কেনার একটি নীতিমালা করবো।
আয়োজকরা জানিয়েছে, এবার আউটসোর্সিং সেবা, পরবর্তী প্রজন্মের ধারণাগুলো উপস্থাপন করা হচ্ছে। এই সময়ের আলোচিত সেবার বিষয়গুলো নিয়ে হচ্ছে আলোচনা। সামিট সফল করার জন্য সারাদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম।
দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, সরকারের নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং বিপিওখাতের সঙ্গে জড়িতরা এতে অংশ নিচ্ছে। এবারের আয়োজনে দেশের আউটসোসিং খাতকে আরও কিভাবে ভালো করা যায়- সে বিষয় বিশ্বকে জানানো হচ্ছে। সরকারের রূপকল্প- ২০২১ বাস্তবায়নে বিপিওখাতের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরা হচ্ছে।
বিপিওখাতে দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবল তৈরি এই সামিটের অন্যতম লক্ষ্য। এতে ২০২১ সালের মধ্যে ৪ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি লক্ষ্যে এ আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে- এই আশা করছেন আয়োজকরা।
এবারের আয়োজনে অংশীদার হিসেবে যুক্ত আছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ ওমেন ইন টেকনোলজি (বিডব্লিউআইটি), আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ও বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ)।