ক্রীড়া প্রতিবেদক : ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে বাংলাদেশের কিশারী ফুটবলাররা। গত বছর ডিসেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় তিন মাসের মধ্যে আরও একটি শিরোপা জিতেছে মারিয়া-শামসুন্নাহাররা। ১ এপ্রিল স্বাগতিক হংকংকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে চার জাতির আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যারা। এবার কনকাকাফ অনূর্ধ্ব-১৫ প্রতিযোগিতায় খেলতে আমেরিকায় যাচ্ছে লাল সবুজ দেশের মেয়েরা। হংকং জয় করে সোমবার মধ্য রাতেই দেশে ফিরেছে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল দলের মেয়েরা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রেখেই আমেরিকায় অনুষ্ঠিতব্য কনকাকাফ অনূর্ধ্ব-১৫ প্রতিযোগিতায় খেলার আমন্ত্রণের খবর পায় মারিয়ারা। অবশ্য কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন আগেই বাফুফে মহিলা উইং কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণের কাছ থেকে সুখবরটি পেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ছোটন বলেন, মেয়েদের আমেরিকায় খেলার খবরটি কিরণ আপা আমাকে জানিয়েছেন। মেয়েদের জন্য এটা অনেক বড় অর্জন হবে। ফুটবলে আমেরিকা শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে খেলার সুযোগ থাকবে। সেখানে ওই অঞ্চলের অন্য শক্তিশালী দলগুলোও থাকবে। যদি আমরা যেতে পারি তাহলে মেয়েরা শেখার অনেক বড় সুযোগ পাবে। সঙ্গে নিজেদের পারফরম্যান্স দেখানোর, অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগও থাকবে। দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হংকংজয়ী মেয়েদের বরণ করে নেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফিফা কাউন্সিল সদস্য ও বাফুফের মহিলা কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ ও বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগসহ অনন্যা। লিগ পদ্ধতির টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ নিজেদের তিন ম্যাচের তিনটিতেই গোল উৎসব করে। প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়াকে ১০-১ গোলে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে ইরানকে হারায় ৮-১ গোলে। শুধু শিরোপাই নয়, টুর্নামেন্টের সেরা গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও এসেছে বাংলাদেশের ঘরে। টুর্নামেন্টে ৮ গোল করে তহুরা খাতুন সর্বোচ্চ গোলদাতা ও ছয় গোল করে শামসুন্নাহার জিতেছেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী মালয়েশিয়া, ইরান ও হংকংয়ের চেয়ে আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল র্যাংকিংয়ে যোজন যোজন পিছিয়ে বাংলাদেশ। র্যাংকিংয়ে ইরানের অবস্থান ৫৮তম, হংকং ৭১তম, মালয়েশিয়া ৮০ এবং বাংলাদেশের অবস্থান ১০২ নম্বরে। কিন্তু তহুরা, শামসুন্নাহার এবং আনুচিংরা প্রমাণ করেছে র্যাংকিং কোন বিষয় না, পারফর্মই আসল। বাংলার বাঘিনীরা মাঠেই প্রমাণ করেছে সেটি।