আজকের প্রভাত প্রতিবেদক : ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সিনিয়র সদস্য, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম এবং স্টাফ রিপোর্টার ও ডিআরইউর স্থায়ী সদস্য রুহুল আমিন রাসেলের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে ডিআরইউ।
সোমবার সংগঠনের এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
পটুয়াখালীর সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি লুৎফুন নেছা ও তার স্বামী সুলতান আহমেদ মৃধার বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই তারা রিপোর্টার ও সম্পাদককে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। প্রতিবাদ প্রকাশের পরও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম ও রুহুল আমিন রাসেলের নামে একটি ১০ কোটি টাকার হয়রানিমূলক মানহানি মামলাও করেন সুলতান আহমেদ মৃধা।
এ ঘটনার জন্য গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে আজ ডিআরইউ সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম ও রিপোর্টার রাসেলের জীবনের নিরাপত্তা বিধান ও অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান ডিআরইউ নেতারা।
এদিকে অপর এক বিবৃতিতে ডিআরইউর স্থায়ী সদস্য ও চ্যানেল আই’র বিশেষ প্রতিনিধি মোরছালীন বাবলার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ।
ডিআরইউ সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ আজ সোমবার এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে মামলাটি দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবাদ পরিবেশনের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় এহসানুল হাসান নিপু নামে একজন বাদী হয়ে পেশাদার সাংবাদিককে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে যেভাবে হয়রানি করছে তা মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের পরিপন্থী।
প্রসঙ্গত, গত ৫ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত ‘যুগের চিন্তা’ পত্রিকায় নারায়ণগঞ্জের মেয়র আইভী রহমানকে হত্যার চেষ্টা শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি মেয়র আইভী রহমানের অভিযোগের প্রেক্ষিত ও তার বক্তব্য সহকারে প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনের কোথাও ওই বাদীর কোনোরকম সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ নেই।
তারপরও গত ১২ ডিসেম্বর বাদী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক মোরছালীন বাবলার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক মোরছালীন বাবলার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে গত ২২ মার্চ ফতুল্লা থানায় একটি মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে পুলিশ অভিযোগের প্রমাণ পায়নি।