নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে পুলিশ অত্যন্ত আন্তরিক। বাংলাদেশ পুলিশের থানাগুলোকে পর্যায়ক্রমে নারী ও শিশুবান্ধব করে গড়ে তোলা হচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও সক্ষমতা ইতোমধ্যে অনেকাংশে বেড়েছে।
সোমবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা থেকে নারী ও মেয়েদের রক্ষা করার জন্য স্থায়ী উদ্যোগ (জিবিভি) প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি স্পেশাল ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সিপো এবং বাংলাদেশে ইউএনএফপিএ’র প্রতিনিধি আইরো কাটো।
আইজিপি বলেন, পুলিশ বা অন্য কোন একক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দেশী-বিদেশী এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় বাড়ানো।
মিয়া সিপো জেন্ডার সহিংসতা নির্মূলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার মধ্যে দিয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে পুলিশী কর্মকান্ডের সাফল্য কামনা করেন।
আইরো কাটো বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা বিশেষ করে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ অর্জনে সক্ষম হবে।
নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা তদন্তে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা বাড়ানো এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে জনসচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। আগামী ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটি চলবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানাসহ দেশের ৪টি জেলার ৫১টি থানায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের আওতায় ১২টি উইমেন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। বগুড়া জেলায় আরো ৩টি হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে রাঙ্গামাটি জেলাসহ দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার নির্যাতিত নারী ও শিশুকে আইনি সহায়তা ও সুরক্ষা দিয়ে আসছে।
অনুষ্ঠানে উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারগণ এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।