নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেনী-২ আসন থেকে নির্বাচিত নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণে বিব্রত হয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার (১২ নভেম্বর) হাইকোর্টের একক বেঞ্চের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া বিব্রত হয়ে মামলার নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোরও আদেশ দিয়েছেন।
এর ফলে নিয়ম অনুযায়ী এখন মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি কাছে যাবে। এরপর প্রধান বিচারপতি অপর কোনও বেঞ্চ গঠন করে মামলাটি শুনানির জন্য প্রেরণ করবেন।
এর আগে ২০১৪ সালে একটি জাতীয় দৈনিকে নিজাম হাজারীর কারাভোগ নিয়ে ‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে এ প্রতিবেদন যুক্ত করে অস্ত্র মামলায় সাজা কম খাটার অভিযোগ এনে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।
এ রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ৮ জুন ফেনী-২ আসন কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছর ৬ ডিসেম্বর দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন। এরপর বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য একক বেঞ্চ গঠন করা হয়। এরপর মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকারের একক বেঞ্চে পাঠান প্রধান বিচারপতি। কিন্তু এ আদালতের প্রতি রিট আবেদনকারীর অনাস্থা জানানোর পর নতুন বেঞ্চ গঠন করা হয়।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী, সুব্রত চৌধুরী ও সত্যরঞ্জন মণ্ডল। নিজাম হাজারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিষ্টার শফিক আহমেদ ও অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান টিকু।