নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘গণতন্ত্র উদ্ধারে’ বিএনপির কী করা উচিৎ তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে যৌথ সভায়। সভা শেষে সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের একথা জানান।
শুক্রবার (৪ মে) সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক যৌথসভা হয়। বিকাল সাড়ে ৪টায় বৈঠক শুরু হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা এ বৈঠক চলে। ‘আজ আমাদের দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সম্পাদকমণ্ডলীর যৌথ সভা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব জানান, ‘যৌথসভায় আগামীতে দলের করণীয় নিয়ে নেতারা তাদের মতামত দিয়েছেন’। সেখানে দলের আগামী দিনের করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামীতে গণতন্ত্র উদ্ধারে কীভাবে বিএনপি কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সভায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং পর্যালোচনা করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের নেতৃবৃন্দ আগামীতে করণীয় সম্পর্কে মতামত দিয়েছেন।’
সভায় বিশেষ করে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ও তার মুক্তির বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘একইসঙ্গে খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে যৌথসভায় ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, শামসুজ্জামান দুদু, মো. শাহজাহান, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, বরকত উল্লাহ বুলু, মেজর (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আব্দুল মান্নান, শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, আমান উল্লাহ আমান, ড. সুকোমল বড়ুয়া, ব্যারিস্টার হায়দার আলী, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, শামা ওবায়য়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফাইয়াজ শুভ প্রমুখ।