ধর্ম ও জীবন ডেস্ক: প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য নবিদের মতো একজন নবি ও রাসুল হলেও তাঁর মর্যাদা আল্লাহ তাআলার দরবারে অন্য নবি রাসুলের মতো নয় বরং তাদের চেয়ে অনেক মর্যাদাবান তিনি। কোরআনুল কারিমের অনেক আয়াতে তা প্রমাণিত। আল্লাহ তাআলা প্রিয়নবিকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছেন। সবার ওপর তার সুনাম ও খ্যাতি বাড়িয়ে মর্যাদা দান করেছেন।
শুধু তাই নয়, ‘আল্লাহ তাআলা মানুষের প্রতি এ মর্মে নির্দেশনা জারি করেছেন যে, ‘প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ করাকে তাঁর অনুসরণ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে (ব্যক্তি) রাসুলের আনুগত্য করল, সে আসলে আল্লাহরই আনুগত্য করল; আর যে মুখ ফিরিয়ে নিল আমি তাদের জন্য আপনাকে প্রহরীরূপে প্রেরণ করিনি।’ (সুরা নিসা : আয়াত ৮০)
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাতে বাইয়াত গ্রহণ করাকে আল্লাহর হাতে বাইয়াত গ্রহণ হিসেবে ঘোষণা করে আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘যারা আপনার বাইয়াত গ্রহণ করে তারা তো আল্লাহরই বাইয়াত গ্রহণ করে; আল্লাহর হাত তাদের হাতে ওপরই। সুতরাং যে তা ভঙ্গ করে, তা ভঙ্গ করার পরিণাম তাকেই ভোগ করতে হবে। সুতরাং যে আল্লাহর সঙ্গে অঙ্গীকার পূর্ণ করে তিনি তাকে মহা পুরস্কার দেন।’ (সুরা ফাতাহ : আয়াত ১০)
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ইজ্জত করা আল্লাহকে ইজ্জত করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘যাবতীয় ইজ্জত তথা সম্মান তো আল্লাহরই এবং তাঁর রাসুলও বিশ্বাসীদের।’ (সুরা মুনাফিকুন : আয়াত ৮)
এমনিভাবে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সন্তুষ্টিকে আল্লাহর সন্তুষ্টির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুল হলেন বেশি হকদার (এ বিষয়ে) যে, তারা যেন তাঁকে সন্তুষ্ট করে; যদি তারা বিশ্বাসী হয়।’ (সুরা তাওবা : আয়াত ৬২)
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ডাকে সাড়া দেয়াকে আল্লাহর ডাকে সাড়া দেয়ার সঙ্গে বর্ণনা করে আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ! রাসুল যখন তোমাদেরকে এমন কিছুর দিকে আহ্বান করে, যা তোমাদেরকে প্রাণবন্ত করে; তখন আল্লাহ ও রাসুলের আহ্বানে সাড়া দাও।’ (সুরা আনফাল : আয়াত ২৪)
উল্লেখিত আয়াতে কারিমায় আল্লাহ তাআলা নিজেই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সম্মান, মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করেছেন।
আলোচ্য আয়াতে কারিমার নির্দেশ পালন করা মুসলিম উম্মাহর একান্ত কর্তব্য। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই ঘোষণা করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ ঈমানদার হতে পারবে না; যতক্ষণ পর্যন্ত না আমি তাদের পিতা-মাতা ও সন্তান-সন্তুতি ও সব মানুষ থেকে প্রিয়তম না হবো।’ (বুখারি) আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যথাযথ মর্যাদা প্রদান করার তাওফিক দান করুন।
আল্লাহ তাআলা প্রদত্ত মর্যাদা ও সম্মানের প্রতি পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করে বাস্তবজীবনে তাঁকে সম্মান ও মর্যাদা প্রদান করার তাওফিক দান করুন।
তাঁরই দেখানো পথে ও মতে জীবন পরিচালনা করে পরকালীন জীবনের সফলতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন