ডেস্ক রিপোর্ট: রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় হামলা ও নির্যাতনের মুখে পিছু হটার পর আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল করেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে শত শত শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে শাহবাগ ঘুরে ক্যাম্পাসে আসেন। তারা এখন টিএসসিতে অবস্থান নিয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুলসংখ্যক ছাত্রীও অংশ নিয়েছেন।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ দুপুরের মধ্যে আটক হওয়া আন্দোলনকারীদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানায়। তা না হলে সারা দেশে আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে দেয়ার ঘোষণা দেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খান।
তিনি বলেন, আমরা পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) বলতে চাই, যারা আন্দোলন করছেন, তারা আপনার ভাই বা সন্তানের মতো। তারা কারও বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন না। তারা অধিকারের প্রশ্নে আন্দোলন করছেন। তাই আজ দুপুরের মধ্যেই আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দেন। তা না হলে সারা দেশে দাবানল ছড়িয়ে পড়বে।
জানা গেছে, রোববার রাতভর কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
সোমবার সকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শহীদুল্লাহ হলে জড়ো হলে সেখানে ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আন্দোলনকারীরা তাদের ধাওয়া করে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত নিয়ে আসেন।
এর পর সেখানে সড়কে অবস্থান নিয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। সকাল সাড়ে ৭টায় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হলে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ হয়। পরে আন্দোলনকারীরা পিছু হটে হলে ফিরে যান। সকাল ৯টার দিকে পুলিশের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার কথা বলা হয়। তবে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন।
বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স অ্যানেক্স ভবনের সামনে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগসহ কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন। পরে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন। সেখান থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।