ক্রীড়া প্রতিবেদক : শনিবার বিজয় দিবস প্রদর্শনী ম্যাচকে ঘিরে শের-ই-বাংলার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বসেছিল সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের মিলন মেলা। রাক্তন ক্রিকেটাররা দুই দলে ভাগ হয়ে আজ খেলেছেন ঐতিহ্যে রূপ নেওয়া ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবস প্রীতি ম্যাচে। মিরপুর শের-ই-বাংলায় শহীদ জুয়েল ও শহীদ মুশতাক একাদশ নামে দুটি দলে খেলেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আকরাম খান, হাবিবুল বাশার সুমন ও মোহাম্মদ রফিকরা। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মিলনমেলায় বিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদ জুয়েল ও শহীদ মুশতাককে স্মরণ করা হয়। খেলা শুরুর আগে নিরাবতা পালন করে শহীদদের স্মরণ করা হয়। এরপর শুরু হয় ক্রিকেটীয় যুদ্ধ। ম্যাচে ৪৬ রানে জয় তুলে নেয় শহীদ জুয়েল একাদশ। আগে ব্যাটিং করে শহীদ জুয়েল একাদশ ৩ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলে ১৭২ রান। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৮২ রান করেন হান্নান সরকার। ৭১ রান করেন জাভেদ ওমর। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মেহরাব হোসেন ৩ ও এহসানুল হক সেজান ৩ রানে সাজঘরে ফিরেন। হান্নান সরকার ৩৯ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৮২ রানের ইনিংসটি সাজান। জাভেদ ওমর ৬২ বলে করেন ৭১ রান। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ১টি ছয়ের মার।
জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে শহীদ মুশতাক একাদশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রানের বেশি করতে পারেনি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন আকরাম খান। ৩১ রান করেন হারুনুর রশীদ। বল হাতে জুয়েল একাদশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন আমিনুল ইসলাম। শহীদ জুয়েল একাদশ :
শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, জাভেদ ওমর বেলিম, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, এহসানুল হক সেজান, হান্নান সরকার, হাসানুজ্জামান, জাহাঙ্গীর আলম, নিয়ামুর রশীদ রাহুল, আতাহার আলী খান, তালহা জুবায়ের, মোর্শেদ আলী খান, শফিউদ্দিন আহমেদ বাবু, আনোয়ার হোসেন (উইকেটরক্ষক), মেহরাব হোসেন অপি।
ম্যানেজার : রকিবুল হাসান।
কোচ : দিপু রায় চৌধুরী।
শহীদ মুশতাক একাদশ :
হারুনুর রশীদ লিটন, হাবিবুল বাশার সুমন, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আকরাম খান, মুশফিকুর রহমান বাবু, খালেদ মাহমুদ সুজন, জামাল উদ্দিন বাবু, মোহাম্মদ সেলিম, মোহাম্মদ রফিক, হাসিবুল হোসেন শান্ত, সাইফুল ইসলাম, তারেক আজিজ খান, মিজানুর রহমান বাবুল, ফারুক আহমেদ।
ম্যানেজার : মোহাম্মদ আলী।
কোচ : ওয়াহিদুল গনি।