শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিডিআর বিদ্রোহের উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনীর কমান্ড ধ্বংস: আদালত

editor
নভেম্বর ২৬, ২০১৭ ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিডিআর বিদ্রোহের উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড ধ্বংস করা এবং সেনাবাহিনী ও বিডিআরকে সাংঘর্ষিক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া। মামলার পর্যবেক্ষণে এ কথা বলেছেন আদালত। রোববার ওই মামলার আপিলের রায়ে হাইকোর্ট বিভাগ এ পর্যবেক্ষণ দেন।
এখন মধ্যাহ্নের বিরতি চলছে। এর আগে তিনজন বিচারপতির মধ্যে দুজন তাদের পর্যবেক্ষণ পড়ে শুনিয়েছেন। এর পর অপর বিচারপতি তার পর্যবেক্ষণ দিবেন। পরে মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আজ মামলার রায় পড়া শেষ নাও হতে পারে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের বলেছেন, দুজন বিচারপতি আলাদাভাবে তাদের অবজারভেশন দিয়েছেন। এর পরে আরেকজন বিচারপতি তার পর্যবেক্ষণ দিবেন। পরে রায় ঘোষণা হবে। আমরা আশা করছি, আজই হয়তো রায় পাবো।
আদালতের পর্যবেক্ষণের বিষয়ে অ্যাডভোকেট কাজল বলেন, এর পেছনে একটি ষড়যন্ত্র ছিল। তৎকালিন গণতান্ত্রিক সরকারকে অস্থিতিশীল অবস্থায় ফেলাও এর পেছনে কারণ ছিল।
তিনি বলেন, আদালতের বিচাপরতিরা তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, এটা একটা বিরল দৃষ্টান্ত। এটা পৃথিবীতে নজীরবিহীন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।
আসামিরা যাতে খালাস না পায় সেজন্য রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে আবেদন করেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অবশ্যই আমরা ন্যায় বিচার পাবো।
২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন বিডিআরের সদর দপ্তর পিলখানায় সংঘটিত নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় হাইকোর্টে রায় পড়া চলছে।
রোববার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চে মামলাটির রায় পড়া শুরু হয়। তবে এখন দুপুরের খাবারের বিরতি চলছে। পরে আবারও আদালত বসবেন।
বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।
আসামি সংখ্যার দিক থেকে এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় ওই হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। এই হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত রায় দিয়েছিলেন। আজ হাইকোর্টের রায়ের মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচারপ্রক্রিয়ার দুটি ধাপ শেষ হতে যাচ্ছে।
এই মামলায় আসামি ছিলেন ৮৪৬ জন। সাজা হয় ৫৬৮ জনের। তাঁদের মধ্যে বিচারিক আদালতের রায়ে ১৫২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২৫৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছিল। খালাস পেয়েছিলেন ২৭৮ জন। এরপর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স  হাইকোর্টে আসে। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডিতরাও জেল আপিল ও আপিল করেন। আর ৬৯ জনকে খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। এসবের ওপর ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়, শেষ হয় ৩৭০তম দিনে গত ১৩ এপ্রিল। সেদিন শুনানি শেষে আদালত মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। এরপর হাইকোর্ট রায়ের জন্য ২৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

Please follow and like us:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial