বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ২ মাঘ, ১৪৩১

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আমরা যেন ভুলে না যাই: শহিদ নাসিবের স্মরণসভায় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

Omar Faruk
অক্টোবর ২৯, ২০২৪ ৮:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঢাকা, ২৯শে অক্টোবর, ২০২৪ :

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আমরা যেন ভুলে না যাই। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। মঙ্গলবার (২৯শে অক্টোবর) বিকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট সার্ভিস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ নাসিব হাসান রিয়ান-এর স্মরণে অনুষ্ঠিত দোয়া ও আলোচনাসভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত সকল শহিদ ও আহতদের স্মরণ করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিয়েই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। একটা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আমরা লড়াই করেছি, রক্ত দিয়েছি। আমরা এমনভাবে রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠন করতে চাই যেন ফ্যাসিবাদ আর ফিরে আসতে না পারে।

শহিদ নাসিব হাসান রিয়ান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সে ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে রাজপথে নেমেছে। মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে সে আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। এই আন্দোলনে শহিদ নাসিবের পিতার অবদানের কথা  স্মরণ করে তিনি বলেন, নাসিব যখন লাঠি হাতে আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো, তখন নাসিবের বাবা তাঁর ছেলের হাতের লাঠি পরিবর্তন করে শক্ত লাঠি তুলে দিয়েছেন। নাসিবের বাবার মতো অনেক অভিভাবক এভাবে আন্দোলনে উৎসাহ যুগিয়েছেন।

আন্দোলনে নিজের অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, আমিও পরিবারের বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলনে অংশ নিয়েছি।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রমাণক সংরক্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এসব প্রমাণক বারবার প্রচার করতে হবে, তা না হলে অনেকে আন্দোলনের ইতিহাস ভুলে যাবেন।

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের দায়িত্ব নেবে সরকার। এই আন্দোলনে যাঁরা শহিদ হয়েছেন তাঁদের পরিবার ও আহতদের প্রতি সকলের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। তিনি শহিদ পরিবার ও আহতদের পাশে থাকার জন্য সরকারি কর্মকর্তা-সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

আলোচনাসভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শহিদ নাসিব হাসান রিয়ান-এর পিতা ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. গোলাম রাজ্জাক। সভায় তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ নাসিব হাসানের অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমার ছেলে নাসিব হাসান রিয়ান দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। মৃত্যুভয় তাকে আন্দোলনে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারেনি। শহিদ নাসিবের স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়া; কিন্তু সেই স্বপ্ন আর বাস্তবায়ন হলো না। সে দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। শহিদ নাসিবের বাবার বক্তব্যের সময় অনুষ্ঠানস্থলে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট সার্ভিস এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ ও বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ. এস. এম. আব্দুল হালিম। সভায় সরকারি কর্মকর্তা, সুধীজন ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে শহিদ নাসিব হাসান রিয়ান-সহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, গত ৫ই আগস্ট ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন নাসিব হাসান রিয়ান। তিনি ঢাকার মিরপুরের বিসিআইসি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

দৈনিক আজকের প্রভাত

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।