ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বিনা বিচারে মানুষ হত্যা চলছে। এটাকে যদি শুধু মাদক বিরোধী অভিযান মনে করি তাহলে আমরা ভুল করব। এর পেছনে অন্য কারণ আছে। আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বেচ্ছাসেবক ফোরাম ঢাকা মহানগর উত্তরের আয়োজনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর মুক্তির দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আলমগীর বলেন, কোন সভ্য দেশে এ রকম বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করা কল্পনাও করা যায় না। এতো রক্ত যেন ১৯৭১ সালেও ঝরেনি।
২০১৩ সালে আমাদের আন্দোলনের সময় রক্ত ঝরিয়েছে। এর আগে ও পরেও ঝরিয়েছে।
আজকে পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে কক্সবাজারে একজন পৌর কাউন্সিলরকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আওয়ামীলীগ করলেও অত্যন্ত নিরীহ মানুষ ছিলেন। কাদের ইশারায় তাদের হত্যা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কোন স্বৈরাচারি সরকারকে আন্দোলন ছাড়া অন্য কোনো ভাবে সরানো সম্ভব হয় না। সেই আন্দোলনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। জেলে যাওয়ার আগে দেশনেত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন। আন্দোলন হবে তবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে। তাই আমরা যেন অস্থির না হই। এই মুহুর্তে ইস্পাত কঠিন ঐক্য দরকার। আমার কাছ থেকে যখন শফিউল বারী বাবুকে ছিনেয়ে নিয়েছিল। আপনারা কি করেছিলেন। সেই জবাবদিহিতা আপনাদের করতে হবে। তরুণদের জাগতে হবে। এখন না জাগলে আর কবে জাগবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনো পথ নেই। নির্বাচন দিতে হবে। সেই নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তা না হলে কি হবে তা খুলনায় দেখেছেন।
স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ান উল হোসেন রিয়াজের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ।