রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ২৫ কার্তিক, ১৪৩১

যেভাবে দেশ চলছে তাতে অনেক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে: ড. কামাল

editor
নভেম্বর ১৭, ২০১৭ ৩:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক: সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশ এখন যেভাবে চলতে তাতে অনেক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে। তিনি বলেন, জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার পূর্ব শর্ত হচ্ছে বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখা। নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও সরকারি কর্মকমিশনসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিত নিশ্চিতপূর্বক নির্বাহী বিভাগের বেআইনি হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত রাখা।
আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার যুব ঐক্যের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় ড. কামাল হোসেন একথা বলেন। এতে ড. কামাল হোসেনের দেয়া লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণফোরাম নেতা আ ও ম শফিক উল্লাহ। লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, জনগণ জানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা। তিনি ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, এটা নিয়ে অনর্থক বির্তক সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ ব্যাপারেতো সাতজন বিচারক ঐকবদ্ধভাবেই রায় দিয়েছেন।
ড. কামাল বলেন, দুর্নীতিবাজরা বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠন করে। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে দেশের বাইরে পাচার করে চলেছে। ফলে দেশের অর্থনীতি ও বিনিয়োগ ব্যবস্থা ক্রমাগত হুমকির মুখে পড়ছে। আর কর্মসংস্থানের অভাবে দেশের বেকার সমস্যা আরো বেড়ে চলেছে। রাষ্ট্রক্ষমতার পালাবদল হলেও অবস্থার কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন হয় না।
অথচ সংবিধানে বর্ণিত রাষ্ট্র পরিচালনার নীতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা হলে দেশের আর্থিক শৃংখলা ফিরে আনা, জনগণের মৌলিক অধিকার ও চাহিদাসমূহ নিশ্চিত করা এবং যুব সমাজের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা মোটেই কঠিন নয়। রাষ্ট্র পরিচালনা সাংবিধানিক নীতিসমুহকে উপেক্ষা করার কারণে, গ্রামে-শহুরের বৈষম্য ও ধনী-দরিদদ্রের বৈষম্য দুর করে জনগণের জীবন ধারণের মৈৗলিক উপকরণ সমূহ আজও নিশ্চিত করা যায়নি। ড. কামাল অভিযোগ করেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ঐকবদ্ধভাবে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগের ব্যাপারে সবাই একমত। জনগণ চায় পুলিশ নিরপেক্ষভাকে কাজ করবে। তবে এসব অনিয়ম বিশৃংখলার বিরুদ্ধে ঐকবদ্ধ হতে হবে। জনগণকে সংঘবদ্ধ হতে হবে। তবে সরকার চাইবে জনগণ যেনো এসবের বিরুদ্ধে ঐকবদ্ধ হতে না পারে। আর এজন্য বিভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সাম্প্রদাযিকতাকে উসকে দিতে চাইছে। এভাবে বিরোধ থাকলে জনগণ ঐকবদ্ধ হতে পারবে না। আর এতে করে সরকারও নির্বিগ্নে ক্ষমতা থাকতে পারবে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ হতে হবে। নিরপেক্ষ বিচারকের ভূমিকায় থাকতে হবে তাকে। আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ থাকতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয় যুব সমাজের বাস্তব সমস্যা সমূহ সমাধানের সঠিক পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণের পরিবর্তে রাজনৈতিক নেতৃত্ব সামান্য অর্থের বিনিময়ে যুবকদের দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করছে। এতে আরো বক্তব্য রাখেন ডাকসু’র সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ।

Please follow and like us:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial