ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, র্যাব জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বকতৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাদক যারা তৈরি করে, কারা বিক্রি করে, যারা পরিবহন করে এবং যারা সেবন করে সকলেই সমানভাবে দোষী। এটাই মাথায় রাখতে হবে এবং সেভাবেই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাদকবিরোধী অভিযানে ইতোমধ্যেই যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছে।’তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েরা যাতে এর ছোবল থেকে দূরে থাকতে পারে তার ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে নিতে হবে।’এ ব্যাপারে বিশেষভাবে ভূমিকা পালনের জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে বড় বড় অভিযানে র্যাবের সাফল্যের জন্য র্যাবের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান এবং এই অভিযান অব্যাহত রাখারও নির্দেশ দেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক ও র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
সন্ত্রাস, জঙ্গিদমন, মাদক নিয়ন্ত্রণ, অপহরণ এবং জাল-জালিয়াতি সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাবের বিভিন্ন ভূমিকা সম্পর্কে এবং সুন্দরবনে র্যাবের অভিযানে ২০টি জলদস্যুবাহিনীর ২১৭ জন সদস্যের আত্মসমর্পন এবং তাদের সাধারণ জীবনে পূনর্বাসন সম্পর্কিত অনুষ্ঠানে পৃথক দুটি ভিডিও চিত্র পরিবেশিত হয়।
মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিনবাহিনী প্রধানগণ, মহাপুলিশ পরিদর্শক, মহাপরিচালক বিজিবি, সরকারের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, র্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ র্যাবের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে র্যাবের একটি সুসজ্জিত বাহিনী প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উত্তরা আশকোনা এলাকায় ৮ দশমিক ৫৬ একর জমির ওপর অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত র্যাব সদর দপ্তর কমপ্লেক্স নির্মাণের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন।
তিনি শহীদ র্যাব সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে র্যাব সদর দপ্তরে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ ‘প্রেরণা ধারা’র উদ্বোধন করেন।