নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর লেকহেড গ্রামার স্কুলের বিষয়ে ভয়াবহ তথ্য আছে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে স্কুলটির বিষয়ে যেসব তথ্য এসেছে তা আমার বিবেচনায় ভয়াবহ।’ মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুবে আলম বলেন, ‘স্কুলটির অনেকগুলো অনিয়ম রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো- স্কুলটির গভর্নিং বডি নেই, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় না। এছাড়া স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক ও বর্তমান অনেক শিক্ষক এবং কয়েকজন অভিভাবকের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করেছে সরকার। তাদের বিষয়ে আমি আদালতে কিছু ক্ল্যাসিফাইড ডকুমেন্ট জমা দিয়েছিলাম। আদালত ওই প্রতিবেদনের ওপর একটি আদেশ দিয়ে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে স্কুলটি এক সপ্তাহের মধ্যে খোলার নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে সাত দিনের মধ্যে কমিটি হলে স্কুলটি কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেনা বাহিনীর শিক্ষা কোর থেকে অফিসার নিয়ে কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে আদালতের আদেশে। যাতে স্কুলের কেউ যেন জঙ্গি কার্যক্রমে জড়াতে না পারে।’
এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘স্কুলটিকে যদি সরকারের নিয়ন্ত্রণে না আনা হয়, তবে অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে।’
ডকুমেন্টের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্কুলটির সঙ্গে জড়িত অনেকেই সিরিয়ায় আইএস সদস্য হিসেবে যুদ্ধ করতে গিয়েছেন। মিরপুরে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সাবেক একজন মেজরও মারাও গেছেন। এর বেশি এ মুহূর্তে আর বলা সম্ভব না।’
এদিকে, স্কুলটির মালিক ও অভিভাবক পক্ষের আইনজীবীদের দাবি, অ্যাটর্নি জেনারেলের ওই ডকুমেন্টে আদালত কোনও জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা পায়নি। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ক্ল্যাসিফাইড ডকুমেন্টগুলো আমি আদালতকে দিয়েছি। এ বিষয়ে তাদের কিছুই জানার কথা না। তবে ওই ডকুমেন্টে যদি তেমন তথ্য না থাকতো তাহলে আদালত সেনা সদস্য দিয়ে কমিটি গঠন করতে বলতেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিন দিনের মধ্যে স্কুলটি খুঁলে দেওয়ার নির্দেশ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) আদালত গ্রহণ করেছেন। এর ওপর শুনানি হবে। আপিল শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্কুলটি নতুন কমিটি দিয়েই চলবে। এটা অন্তর্র্বতী আদেশ।’