নিজস্ব প্রতিবেদক: স্কুল শিক্ষিকার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার নির্ঝর কান্তি বিশ্বাস নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা। আপত্তিকর অবস্থায় ওই শিক্ষিকার ঘর থেকে তাদের দু’জনকে আটক করে স্থানীয়রা।
নির্ঝর কান্তি বিশ্বাস উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাসের বড় ভাই। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে উপজেলার শ্রীরামকাঠী বন্দরে। বিষয়টি ‘টক অব দ্যা উপজেলায়’ পরিণত হয়েছে।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা নির্ঝর কান্তি বিশ্বাস ওই শিক্ষিকার কর্মস্থল বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি থাকাকালে তাদের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক তৈরি হয়।
এ কারণে ওই শিক্ষিকার সঙ্গে তার স্বামীর দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছে। বর্তমানে স্বামী ভারতে থাকায় ওই শিক্ষিকা একাই ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করছেন। এ সুযোগে ওই আওয়ামী লীগ নেতা প্রায়ই শিক্ষিকার ঘরে আসা-যাওয়া করতেন। বুধবার সকালে আওয়ামী লীগ নেতা নির্ঝর কান্তি বিশ্বাসকে ওই শিক্ষিকার ঘরে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা নির্ঝন কান্তি বিশ্বাস বলেন, ওই শিক্ষিকা আমার আত্মীয়। সে ভারতে চিকিৎসার জন্য যাবে, ভারতে ডাক্তারের শিডিউলের ব্যাপারে কথা বলার জন্য সে আমাকে বাসায় ডাকে। বাসায় ঢুকার পর বাহির থেকে কে বা কারা দরজা তালা লাগিয়ে দেয়। আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। প্রতিপক্ষরা আমাকে হেয় করার জন্য মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।
শ্রীরামকাঠী বন্দরের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওই নেতাকে একই বাসা থেকে এর আগেও স্থানীয়রা আটক করেছিল। তখন মান সম্মানের কথা ভেবে রাতের আঁধারে বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়। এরপরও সংশোধন না হলে বাড়ির মালিকসহ তাকে একাধিকবার সতর্ক করেছেন স্থানীয়রা। বুধবার পুনরায় ওই শিক্ষিকার ঘরে ঢুকে আবার ধরা পড়েছেন তিনি।
একই ইউনিয়নের যুবলীগের এক নেতা বলেন, ঘটনার পর ওই নেতা আমাকে মোবাইলে ফোনে তাকে ওই বাসায় আটক করার বিষয়টি জানান এবং তাকে উদ্ধার করার অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজি বলেন, ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে শিক্ষিকার বাসায় আটক করা হয়েছিল সত্য। তবে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।