অনলাইন ডেস্ক
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সমন্বিত উদ্যোগে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এলএনজি, এলপিজি বা কয়লার বহুমুখী ব্যবহার করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সহজ প্রাপ্যতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।
আজ রবিবার ঢাকায় এনইসি-২ সম্মেলনকক্ষে ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপ লাইন’ শীর্ষক প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, অবকাঠামোগত মহাপরিকল্পনা বা অর্থনৈতিক উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। ডিপিডিসি বা পিজিসিবি’র প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের সহযোগিতা চেয়ে তিনি আরো বলেন, ডিপিডিসির প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে ঢাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যাতে শুধু সরকার-টু-সরকার খাতই নয় অন্যান্য খাত থেকেও অর্থায়ন করা যেতে পারে। ‘ডিজাস্টার ইনফ্রাস্ট্রাকচার রেসকিউ টিম’ গঠনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে এ খাতে চীনের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ভারসাম্য বৃদ্ধি পাবে এবং অপরিশোধিত তেল আমদানিতে সিস্টেম লস অনেকাংশে কমে যাবে। সার্বিকভাবে বার্ষিক প্রায় এক হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্টে চীন সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত মা সিংকিয়াং এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আযম স্বাক্ষর করেন।
অন্যান্যের মাঝে বিপিসি’র চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমতুল মুনীম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।