নিজস্ব সংবাদদাতা: ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার নতুন তারিখ ১২ নভেম্বর নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এর আগেও ৮ ও ১১ নভেম্বর সমাবেশ করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল বিএনপি।
৭ নভেম্বর বিএনপি ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে। সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমকে জানান, সরকার থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক অনুমতি পাওয়া যায়নি। তবে ওই দিন সমাবেশ করা সম্ভব হবে বলে আশ্বাস পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে বিএনপিকে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে দেয়নি। এ জন্য সরকার ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। তিনি বলেন, কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) সম্মেলনের অজুহাত দিয়ে সরকার বিএনপিকে জিয়াউর রহমানের মাজারে যেতে দেয়নি। এ জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছে।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের ওপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। মানুষ অতিষ্ঠ। দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে বিএনপি ‘আন্দোলন’ করছে। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত বিএনপি দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ‘অপশাসন’ দূর করবে, দেশে পরিবর্তন আনবে।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি সংঘাতের পথে যেতে চায় না। সংঘাত যেন না হয়, সে জন্য বিএনপি আলাপ-আলোচনার কথা বলে আসছে। সংলাপের মাধ্যমে দেশের চলমান সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’-এর সমাবেশটি ১২ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সরকার সমাবেশে কোনো বাধা দেবে না, সার্বিক সহযোগিতা করবে এটা বিএনপি আশা করছে। কোনো ধরনের বাধা দিলে সরকার আবারও প্রমাণ করবে তারা গণতন্ত্র চায় না।