নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘সরকার গুÐামি করে প্রধান বিচারপতিকে অবসর গ্রহণে বাধ্য করেছে। সরকার নিজেদের ইচ্ছা পূরণে এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার জন্য এখন আদালতকে ব্যবহার করবে। তাদের বিরুদ্ধের লোকদের শাস্তি দিতে আদালতকে কসাইখানায় পরিণত করবে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রাম শহরের সরদার পাড়ায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন রিজভী।
নির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন যথার্থই বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে কখনই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে তা হবে হাসিনা মার্কা ও ফেনী মার্কা নির্বাচন। রাত ৩টায় ব্যালট বাক্স পূরণ হবে এবং বিরোধী দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারবে না। ফলে তার অধীনে ক্ষমতার পালা বদল হবে না।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে যাবো। নির্দলীয় সরকারের অধীনে যে সহায়ক সরকার তার অধীনেই আমরা নির্বাচনে যাবো। আমরা শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না। কারণ তারা রক্তাক্ত পরিবেশ তৈরি করবে এবং ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেবে না।’
কুড়িগ্রামের দারিদ্রতা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘এখানে দুর্ভিক্ষপ্রবণ অবস্থা বিরাজ করলেও সরকারের দিক থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, শফিকুল ইসলাম বেবু, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা, যুগ্ন সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, সাংগাঠনিক সম্পাদক নুর ইসলাম নুরুসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।