সুমন চৌধুরী : ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বাদশা’র জন্মদিন আজ।
দৈনিক আজকের প্রভাত এর পক্ষ থেকে সাখাওয়াত হোসেন বাদশাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। ১৯৬৩ সালের এই দিনে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বাবনাপাড়া গ্রামে সাখাওয়াত হোসেন বাদশা জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মৃত ইয়াকুব হোসেন ও মা মৃত শামসুন্নাহারের সাত সন্তানের মধ্যে তিনি বড়।
সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ১৯৯১ সালে দৈনিক কালবেলায় যোগদানের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এর পর কাজের ধারাবাহিকতায় দৈনিক ইনকিলাব, বাংলাবাজার পত্রিক, আবাস, দৈনিক করতোয়ায় সাংবাদিকতা করেন। সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সহধর্মিনী সৈয়দা শিরীন আক্তার। এই দম্পতির দুই মেয়ে। বড় মেয়ে ডা. সাদিয়া হোসেন শশী ও ছোট মেয়ে জাসিয়া হোসেন তিশি।
সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে তিনি ঢাকার সাংবাদিকদের মূলধারার সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে তিনবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
সাখাওয়াত হোসেন বাদশা এবার জাতীয় প্রেসক্লাবে যুগ্ম সম্পাদক পদে নির্বাচন করছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জনাব বাদশা জাতীয় প্রেসক্লাবের সন্মানিত ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন। যারা প্রেস ক্লাবের সদস্য হতে পারেননি, তিনি তাদেরকেও এই নির্বাচনে পাশে চেয়েছেন। তিনি বলেন, যেসব ভাই/বোন, বন্ধু ও শুভাকাঙ্খী প্রেস ক্লাবের সদস্য হতে পারেননি তারাও আমার কাছে অনেক অনেক মূল্যবান। কারণ রাজপথের আন্দোলনে, ডিআরইউ’র সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে আপনারাই ছিলেন আমার সহযোদ্ধা।
এদিকে সাখাওয়াত হোসেন বাদশা প্রসঙ্গে ডিআরইউ’র এক নেতা তার ফেসবুক পেইজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ওই স্ট্যাটাসে বলা হয়, আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করেন সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের পর কোন সাংবাদিক নেতা সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এক কাতারে এনে আন্দোলন করেছিলেন? সাংবাদিক দীনেশ দাস সড়ক দূঘর্টনায় নিহত হওয়ার পর কোন সাংবাদিক নেতা প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছিলেন? সাংবাদিক নিখিল দাদা সড়ক দূর্ঘটনায় পা হারানোর ঘটনায় কোন সাংবাদিক নেতা দিনভর রাজপথ আটকিয়ে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছিলেন? তিনি অন্য কেউ নন, আমাদের সকলেরই প্রিয় নেতা সাখাওয়াত হোসেন বাদশা।
এখানেই শেষ নয়। জনাব বাদশা ডিআরইউর সদস্যদের জন্য ইন্স্যুরেন্স চালু করেছেন। ডিআরইউ প্রয়াত সদস্য সন্তানদের জন্য বছরে ৩৬ হাজার টাকা করে শিক্ষা বৃত্তি চালু করেছেন। এ ছাড়াও ডিআরইউ’র জমি, সম্প্রসারিত ভবণ নির্মাণ, সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন, সাগর-রুনি হল নির্মাণসহ বিভিন্ন সাংগঠনিক কাজ করেছেন বাদশা’র নেতৃত্বাধীন কমিটি।
জনাব বাদশা শুধু পেশাদার সাংবাদিকই নন, পেশাদার সাংবাদিকদের ভরসা ও আস্থার ঠিকানা। সাংবাদিকদের যেকোনো সমস্যায় তিনি এগিয়ে আসেন, সহযোগীতা করেন- এটাই তার বৈশিষ্ট।