ঢাকা, মঙ্গলবার
৬ কার্তিক (২২ অক্টোবর)
আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল কর্তৃক আয়োজিত ‘স্তন ক্যান্সার সচেতনতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে অক্টোবর মাসকে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসেবে গণ্য করা হয়।
উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো: মোখলেস উর রহমান। উক্ত সেমিনারে সকল মন্ত্রণালয় এবং বিভাগ হতে মনোনীত একজন করে নারী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবগণ এবং সকল নারী কর্মকর্তা।
সিনিয়র সচিব, মোঃ মোখলেস উর রহমান বলেন, স্তন ক্যান্সারের সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্তকরণই পারবে স্তন ক্যান্সারের যুদ্ধে জয়ী করতে। লেবার ওয়ার্ডে প্রসূতির স্বামীর উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে মর্মে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন।
উক্ত সেমিনারে মূল প্রতিপাদ্যের উপর সেমিনার পেপার উপস্থাপন করেন সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ শোভন সাঈদ এবং সার্জারী বিভাগের মেডিকেল অফিসার আজমাঈনা তাজরিয়ান। প্রথম ধাপে বক্তব্য রাখেন সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ শোভন সাঈদ। তিনি স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ, পরীক্ষা ও আধুনিক চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের মেডিকেল অফিসার আজমাঈনা তাজরিয়ান স্তন ক্যান্সারের স্ক্রিনিং ও ব্রেস্ট সেলফ এক্সামিনেশন বিষয় উপস্থাপন করেন।
উপস্থাপনার শেষে সেমিনারে প্রশ্ন উত্তর পর্ব ও মুক্ত আলোচনায় সকলে সতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারে নিয়মিত স্তন ক্যান্সারের স্ক্রিনিং, ব্রেস্ট সেলফ এক্সামিনেশন ও ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে ভয় নির্মূল করার বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে স্তন ক্যান্সার অন্য সাধারণ রোগের মতোই। স্তন ক্যান্সার হলেই সম্পূর্ণ স্তন ফেলে দিতে হয়না। স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা একটি দীর্ঘ যাত্রা। ধৈর্য সহকারে চিকিৎসকের প্রদানকৃত প্রতিটি চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
সবশেষে সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের মহাপরিচালক জনাব মোঃ আঃ রাজ্জাক সরকার হাসপাতালে প্রদত্ত সেবা সমূহ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন এবং ধন্যবাদ দিয়ে সেমিনারের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।