ডেস্ক রিপোর্ট: নিরাপত্তাহীনতায় স্কুলপড়ুয়া দুই কিশোরী মেয়ে নিয়ে চট্টগ্রামে লুকিয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের টেকনাফে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত কাউন্সিলর একরামুল হকের স্ত্রী আয়েশা বেগম।
রোববার একটি গণমাধ্যকের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
আয়েশা বলেন, ‘তিন নারী (তিনি ও দুই মেয়ে) ছাড়া ঘরে আর কেউ নেই। মামলা-মোকদ্দমা নিয়ে যে থানা-আদালতে দৌড়াদৌড়ি করব, সেই সুযোগ ও পরিস্থিতি কোনোটি নেই। মেয়ে দুটো সারাক্ষণ বাবার জন্য কান্নাকাটি করছে, ক্ষণে ক্ষণে মূর্ছা যাচ্ছে, কী করব ভেবে পাচ্ছি না।’
আয়েশা বেগম কান্নারত অবস্থায় বলেন, দুই মেয়ের লেখাপড়ার কী হবে? কীভাবে সংসার চালাব?
একরামুল হককে হত্যার পর সাংবাদিকেরা ছাড়া প্রশাসনের কেউ তাঁদের খোঁজ নেয়নি। একরামের দুই মেয়ে তাহিয়াত হক ও নাহিয়ান হক টেকনাফ বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুলের অষ্টম ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে।
তাহিয়াত জানায়, ‘বাবা সব সময় আমাদের মোটরসাইকেলে তুলে স্কুলে নিয়ে যেতেন, তখন তাঁর শরীর থেকে সুগন্ধ নাকে আসত। বাবা তো বেঁচে নেই, এখন কে আমাদের স্কুলে নিয়ে যাবে? সুগন্ধটা কোথায় পাব?’।
একরামের বড় ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সবাই মামলার কথা বলছে। আমরা কার বিরুদ্ধে মামলা করব? পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’