আজকের প্রভাত প্রতিবেদেক : রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে ৬ ডিসেম্বর থেকে তথ্যপ্রযুক্তি আন্তর্জাতিক আসর ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭। পঞ্চম বারের মত এটি আয়োজন করেছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে সরকারের গত নয় বছরের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আগ্রগতি তুলে ধরা হবে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির স্বাক্ষর বহন করবে এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড। ফলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তৈরি হবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, পাঁচ বারের মত এবার ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড আয়োজন করা হচ্ছে। ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে চারদিনব্যাপী এই আয়োজন হবে বড় পরিসরে। এতে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীবর্গ আসবেন। অংশ নেবেন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। ইন্টারনেটকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের হাতিয়ার উল্লেখ করে পলক বলেন, বাংলাদেশ এখন আইসিটি ইকো-সিস্টেমের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রস্তুত। কেননা, দেশের শ্রমমুখী অর্থনীতিকে আজ আমরা ইকোনোমিক ভাইভারসিফিকেশনের দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডকে সফল করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে পলক বলেন, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে আগতরা জানতে পারবেন ২০১৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সরকার আইসিটি খাতে কতটা উন্নতি করেছে। এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে ৭০ জন বিদেশি এবং শতাধিক স্পিকার ২৯টি সেশনে অংশ নেবেন। এতে গুগল, ফেসবুক, নুয়ান্স, অ্যাংরিবার্ড, কোয়ালকম এবং মটোরোলাসহ পৃথিবীর শীর্ষ আইটি প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নেবে। আইসিটি শিল্পের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় মোট ২৮টি হাইটেক পার্ক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। আইসিটি খাতে ২০০৮ সালে রফতানি আয় ছিল ২৬ মিলিয়ন ডলার। নয় বছরে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০০ মিলিয়নে। বর্তমানে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছেছে তথ্যপ্রযু্ক্িত সেবা।
৬-৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রদর্শনী প্রতি দিন সকাল নয়টা থেকে শুরু হয়ে রাত নয়টা পর্যন্ত চলবে। এতে প্রবেশের জন্য কোনো ফি লাগবে না। তবে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের স্লোগান রেডি ফর টুমরো। মেলার পার্টনার হিসেবে থাকছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং(বাক্য), ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব), বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ), বাংলাদেশ উইমেন ইন আইটি (বিআইডব্লিউটি), সিটিও ফোরাম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক অথবা ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসইট www.digitalworld.org.bd/www.facebook.com/DigitalWorldBangladesh- এর মাধ্যমে মেলায় প্রবেশের জন্য অগ্রিম রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার সরকারসহ তথ্যপ্রযুক্তি বেসিস, বাক্য এবং ই-ক্যাবের সদস্যরা।