শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৯ পৌষ, ১৪৩১

৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস

editor
ডিসেম্বর ৪, ২০১৭ ১২:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আজকের প্রভাত প্রতিবেদক : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আইসিটি অস্কার’খ্যাত তথ্যপ্রযুক্তির বড় এই আয়োজন করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। যেকোনো দেশের জন্যই এটি একটি গর্বের বিষয়। প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের আকাঙ্খা থাকে এই অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার। এতে বিশ্বের প্রযুক্তিতে নেতৃত্বদানকারী দেশগুলো অংশ নিচ্ছে। ফলে তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবেন।
শনিবার এই আয়োজনের সর্বশেষ আগ্রগতি জানাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বেসিস কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন হয়। সেখানেই প্রধান অতিথীর বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইসিটি অস্কার খ্যাত অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস আয়োজনে প্রস্তুত বাংলাদেশ। ৭ থেকে ১০ ডিসেম্বর থেকে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বৃহত্তম সংগঠন এশিয়া প্যাসেফিক আইসিটি অ্যালায়েন্স (অ্যাপিকটা) অ্যাওয়ার্ডস।
বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে পলক বলেন, এই আওয়ার্ড আয়োজনের মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয় যে বাংলাদেশে যেকোনো ধরণের আন্তর্জাতিক আইসিটি প্রর্দশনী আয়োজন করতে সক্ষম। আমি আশা করবে বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যক্ষ আলাপ-আলোচনার ফলে নলেজ শেয়ারিং হবে। যা কী না ডিজিটাল বাংলাদেশকে আরও উন্নত করবে’।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে বিশ্ববাসী আইসিটি সহ সামগ্রিক আগ্রগতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবেন। এছাড়াও এই আয়োজন সফল করার মাধ্যমে আমরা আন্তর্জাতিক আইসিটি প্লাটফর্মে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ অ্যাপিকটার সদস্যপদ অর্জন করে। এর পরের বছরই অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডে অংশ নিয়ে একটি ক্যাটাগরিতে বিজয় অর্জন করে। আর এবছর প্রথম বারের মত বাংলাদেশে অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডের আসর বসছে। এই আয়োজনের মাধ্যমে দেশের তথ্যপ্রযুক্তিখাতের সক্ষমতা বাছাই করা সম্ভব হবে। কেননা, এই ধরনের আয়োজন বাংলাদেশে কখনও হয়নি।
অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডের আহ্বায়ক ও বেসিসের সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, এই প্রতিযোগিতায় ১৭ টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতা চলবে। ১৬ টি দেশ থেকে ৭১ জন বিচারক অংশ নেবেন। বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ডের জন্য ৪৮টি প্রকল্প উপস্থাপন করবে।
২০১৭ সালের অ্যাওয়ার্ডের প্রধান বিচারক আবদুল্লাহ এইচ কাফি আশা করেন বাংলাদেশ দুই থেকে তিনটা হলেও অ্যাওয়ার্ড পাবে। এজন্য বাংলাদেশি দলগুলো নিয়মিত গ্রুমিং করে প্রস্তুত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মালিহা নার্গিস। এছাড়াও এতে উপস্থিত ছিলেন বেসিস-এর সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান, পরিচালক উত্তম কুমার পাল, সৈয়দ আলমাস কবীর।
বেসিসের সঙ্গে যৌথভাবে এই অ্যাপিকটা অ্যাওয়াডস আয়োজন করেছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। ১০ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

দৈনিক আজকের প্রভাত

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।