আজকের প্রভাত ডেস্ক
ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর সবার মনেই প্রশ্ন ছিল কীভাবে বাশার আল আসাদ দেশ ত্যাগ করলেন। প্রাথমিকভাবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর হয়েছিল যে আসাদ ব্যক্তিগত বিমানে করে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেছেন। এর এক দিন পরেই জানা যায় পরিবারসহ রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন আসাদ। এখন রাশিয়া জানিয়েছে তাদের সহযোগিতাতেই বাশার আল আসাদ নিরাপদে দামেস্ক থেকে মস্কোতে পৌঁছেছেন। রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে রিয়াবকভ বলেছেন, সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আসাদকে একদম নিরাপদেই রাশিয়ায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, সোমবার ক্রেমলিন জানিয়েছে আসাদকে রাশিয়ায় আশ্রয় দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেই। সিরিয়াতে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে গত ১৩ বছর ধরে বাশার আল আসাদের রক্ষাকর্তা হিসেবে কাজ করেছে মস্কো। পশ্চিমা চাপের মধ্যেও পুতিন মধ্যপ্রাচ্যে নিজের প্রতিপত্তি ধরে রাখতে আসাদকে সমর্থন দিয়ে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়ার পুতিন সুরক্ষা না দেয়ায় পতন হয়েছে আসাদের। পুতিনের আভিজাত্যে যেন আঘাত হেনেছে ট্রাম্পের এই মন্তব্য। হয়তবা মস্কো জানান দিলো যে, খারাপ পরিস্থিতিতেও মিত্রকে সহায়তা করতে সক্ষম রাশিয়া।
বাশার আল আসাদ রাশিয়াতে নিরাপদেই আছেন বলে জানিয়েছেন সের্গেই রিয়াবকভ। রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এনবিসি নিউজকে বলেছেন- তিনি এখন নিরাপদ, যা প্রমাণ করে রাশিয়া বৈরী পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সক্ষম। তবে কীভাবে আসাদকে দেশ থেকে বের করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি রাশিয়া। মস্কো আসাদকে বিচারের জন্য হস্তান্তর করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রিয়াবকভ বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত যে কনভেনশন প্রতিষ্ঠা করেছে রাশিয়া সেই কনভেনশনের পক্ষাবলম্বন করে না।
পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে শীতল যুদ্ধের প্রথম থেকেই সিরিয়াকে সমর্থন করেছেন মস্কো। ১৯৪৪ সালে দামেস্ক ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার প্রচেষ্টা শুরুর পর থেকে পশ্চিমা ব্লক সিরিয়াকে সোভিয়েতপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করে। এদিকে মঙ্গলবার সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মোহাম্মদ আল বশির। বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বশির ইদলিবের বিদ্রোহী প্রশাসনের দায়িত্বে ছিলেন।