ডেস্ক রিপোর্ট: সারাদেশে বজ্রপাতে কমপক্ষে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আনুমানিক মাত্র ৯ ঘণ্টার ব্যবধানে এতো জন মানুষ মারা গেলেন। দেশের ১৪ টি জেলায় আনুমানিক সকাল ৭ টা থেকে সর্বশেষ বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তারা বজ্রপাতের কবলে পড়েন। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরো ২৫ জন। হতাহতের ঘটনাগুলো ঘটেছে হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিলেট, গাইবান্ধা, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, মানিকগঞ্জ, নীলফামারী, জামালপুর, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, কুমিল্লা ও নরসিংদীতে।
হবিগঞ্জে ৬: হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে ধান কাটা শ্রমিকসহ ৬ জন নিহত এবং ৭ জন আহত হয়েছেন। দুপুরে জেলার বানিয়াচং, নবীগঞ্জ, লাখাই ও মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এই হতাহতের ঘটনাগুলো ঘটে। এর মধ্যে ৫ জনই মারা যান ধান কাটা অবস্থায়। ধান কাটা অবস্থায় তারা বজ্রপাতের কবলে পড়েন। তারা হলেন- বানিয়াচং উপজেলায় জয়নাল মিয়া, স্বপন দাশ, নবীগঞ্জ উপজেলার নরায়ন পাল, আবু তালিব ও মাধবপুর উপজেলার জহরলাল সরকার। অন্যদিকে, লাখাই উপজেলার ছুফি মিয়া হাওর থেকে গরু নিয়া বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে আহত হন ছুফি মিয়া। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সুনামগঞ্জে ২: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও শার্লায় বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দুর্বাকান্দা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে জুয়েল আহমদ (১৬) ও শার্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের ইসহাক আলীর ছেলে আলমগীর মিয়া (২২)। ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নূর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিলেটে ১: সিলেটের গোয়াইনঘাটের তোয়াকুল ইউনিয়নের লাকি কামারগাওয়ে বজ্রপাতে ১ জন নিহত হয়েছেন। আজ দুপুর ২ টায় আকস্মিক বজ্রপাতে এ মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম নুরুল হক (৩০)। সে পার্শ্ববর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মোড়ারগাও গ্রামের চন্ডু মিয়ার ছেলে। ঘটনার সময় সে তার মামার বাড়ি যাচ্ছিলো। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিহতের নিকটাত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করেছে। এদিকে বুধবারের এ আকস্মিক কালবৈশাখি ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছপালা,কাচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রাধনগরবাজারে বড়-বটগাছ ধ্বসে পড়লে ১০টি দোকান ভেঙ্গে পড়ে। এতে অন্তত ১০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর রয়েছেন নজু মিয়া,ফতেহ আলী,আঃ ছুবহান।
গাইবান্ধায় ১: গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার উদাখালি ইউনিয়নের পশ্চিম ছালুয়া গ্রামের চরে বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মহর আলী (৩৫) উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের চর কাবিলপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। উদাখালি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নারায়ণগঞ্জে ১: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বজ্রপাতে মারিয়া আক্তার (কুলফি) (৮) নামের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের তিলাব গ্রামে । জানা গেছে, মেয়েটি স্কুল থেকে ফিরে তাদের বাড়ির পাশের মাঠে তেঁতুল গাছের নিচে খেলা করছিলো। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। নিহত মারিয়া তিলাবো গ্রামের শাহ কামালের মেয়ে।
কিশোরগঞ্জ ২: পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় নিকলীতে শাহজালাল (২২) নামে এক পলিটেকনিক শিক্ষার্থী এবং পাকুন্দিয়ায় দিপালী রাণী বর্মণ (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বজ্রপাতে এই দুইজনের নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। নিহত দুই জনের মধ্যে শাহজালাল নিকলী উপজেলার ছাতিরচর ইউনিয়নের ছাতিরচর বিজয়নগর গ্রামের মাঈন উদ্দিনের ছেলে ও কিশোরগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের কম্পিউটার বিভাগের ৮ম পর্বের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে গৃহবধূ দিপালী রাণী বর্মণ পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের আশুতিয়া গ্রামের সুধীর চন্দ্র বর্মণের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পলিটেকনিক শিক্ষার্থী শাহজালাল তাদের জমির কাটা ধান মহিষের গাড়িতে করে বাড়ি আনার জন্য পাশের হইন হাওরে যান। দুপুর ১২টার দিকে সেখানে বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই শাহজালালের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে গৃহবধূ দিপালী রাণী বর্মণ বাড়ির রান্নাঘরে রান্না করছিলেন। একই সময়ে বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলে দিপালী রাণী বর্মণেরও মৃত্যু হয়।
রাজশাহীতে ২: রাজশাহীর তানোরে বজ্রপাতে দুই কৃষক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো দুই জন। আজ সকাল ৯টার দিকে উপজেলার পৃথক পৃথক দুই স্থানে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। উপজেলার কামারগাঁ বাতাসপুর গ্রামের জমির মাঠে ধান কাটতে গিয়ে ওই গ্রামের ডোকমান আলী ছেলে আনছার আলী (৩০) বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় আনন্দ শাহা (৩৫) ও টিল শাহা (৩০) নামে আরো দুইজন আহত হন। কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দীন বলেন, নিহত আনছার আলী খুব গরীব ঘরের সন্তান। আহতরা বিপদমুক্ত রয়েছে। অপরদিকে, উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের দুবইল নামোপাড়া গ্রামের সামসুদ্দীনের ছেলে সোহাগ আলী (১৮) সকালে জমির মাঠে সেমিডিপের কাজ করছিল। এসময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়।
মানিকগঞ্জ ২: মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় বজ্রপাতে নিহত হয়েছে এক স্কুল ছাত্রসহ দুই জন। এরা হলেন উপজেলার তালুকনগর গ্রামের ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্র সাইফুল ইসলাম (১২) ও হাসাদিয়া এলাকায় কৃষক ইয়াকুব আলী শেখ (৪৫)। বুধবার সকাল ও দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
তালুকনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুর রহমান জানান,বুধবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে স্কুলের শিক্ষার্থীরা টিফিনের বিরতির সময় বিদ্যালয়ের গেইটে দাড়িয়ে চানাচুর-বিস্কুট খাচ্ছিল। এসময় হঠাৎ বজ্রপাতের সৃষ্টি হলে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণীর প্রায় ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। মারাত্মক ভাবে আহত সাইফুল ইসলামকে স্থানীয় দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে সে মারা যায়। বাকি আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে বুধবার সকালে একই উপজেলার হাসাদিয়া গ্রামে বজ্রপাতে মারা যায় কৃষক ইয়াকুব আলী। বাচামার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ জানান, ইয়াকুব আলী সকালে তার জমিতে ধান কাটতে গেলে বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। এসময় বজ্রপাতের আঘাতে ইয়াকুব আলী ঘটনাস্থলেই মারা যায় বলে তিনি জানান।
নীলফামারী -২: নীলফামারীর জলঢাকায় বজ্রপাতে ২জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। একই সাথে প্রচণ্ড কালবৈশাখী ও শীলাপাতের কারণে আমসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বুধবার সকালে আচমকাই কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে জেলা সদর, ডোমার, জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পশ্চিম আকাশ থেকে কালো মেঘে ঢেকে যায় জেলাসদর। যেন মুহুর্তে রাতের আধার নেমে আসে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট স্থায়ী ঝড়ের সাথে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টির ফলে শহরের মুন্সিপাড়া, পাটকামুড়ি, দেবীরডাঙ্গা, এলাহী মসজিদপাড়া ও পুরাতন রেলস্টেশন এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বড়বড় শীলার আঘাতে ঘরের টিন ফুটো হয়ে যায়। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, ঝড়ে গোটা জেলায় প্রায় সহস্রাধিক কাচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছ উপড়ে ও ডালপালা পড়ে বিকেলে পর্যন্ত বিদ্যুৎ-বিহীন অবস্থায় থাকে গোটা জেলা। ওদিকে প্রচণ্ড বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টির সময় জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের মৃত-ইসলাম উদ্দিনের স্ত্রী আছমা খাতুন (৫০) এবং কাঁঠালী দেশীবাই এলাকার মৃত-রবিউল আলমের পুত্র নুরল আমিন (৪০) মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
জামালপুরে ১: জেলার দেওয়ানগঞ্জ ও মেলান্দহ উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় বুধবার সকালে একজন নিহত ও চার জন আহত হয়। এসময় বজ্রপাতে একটি দোকান ঘর ভস্মীভূত হয়। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চর আমখাওয়া ইউনিয়নের মেম্বার জয়নুল আবেদীন জানান, সকালে তার ইউনিয়নের মৌলভীর চর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে হাবিবুর রহমান(৪৭)বৃষ্টির মধ্যে বাড়ির পাশে ধান ক্ষেত দেখতে যায়। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে তিনি গুরুতরভাবে আহত হন। পরে পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় সানন্দবাড়ী এলাকায় তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে জেলার মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের পূর্ব শ্যামপুর আমডাঙ্গা গ্রামে একই সময় বজ্রপাতে সিরাজুল ইসলামের একটি দোকানঘর ভস্মীভূত হয়। এ সময় বজ্রপাতে দোকানের পাশের বাড়ির মোজাম্মেল হোসেনের স্ত্রী মিছিরন নেছা(৩২) বজ্রপাতে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন।
ময়মনসিংহে ২: ময়মনসিংহের ৫ উপজেলায় বজ্রপাতে ২ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহ সদর, ভালুকা, ফুলবাড়িয়া ও হালুয়াঘাটে ও মুক্তাগাছা উপজেলায় এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলার চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়নে আলাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। মুক্তাগাছায় একজন মারা গেছে জানা গেছে। এছাড়া ফুলবাড়িয়া ও হালুয়াঘাটে ভালুকা ও মুক্তাগাছা উপজেলায় আরো ১৫ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভালুকা মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, দুপুরে স্থানীয় পূর্ব-ভালুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী বজ্রপাতের শব্দে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। একই সময় উপজেলার ভরাডোবা এলাকায় বজ্রপাতে আরো দুজন আহত হন।
এছাড়া মুক্তাগাছা উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় বজ্রপাতে ৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। বুধবার দুপুরে উপজেলার নতুন বাজার গরুর হাটে গরু ক্রয়-বিক্রয়ের সময় বজ্রপাতে ৮ জন আহত হয়। আহতদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জে ১: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর বজ্রপাতে সমতুল্লাহ (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শাকিল মিয়া (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্র আহত হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের পানাগাড়ি চরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সমতুল্লাহ ওই ইউনিয়নের পানাগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। আহত শাকিল মিয়া (১৫) খাস রাজবাড়ি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
কুমিল্লায় ৩: যাত্রাপুরে বজ্রপাতে ৩জন নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের দক্ষিণ পশ্চিম পাড়ার বিলে বোর ধান কাটতে গিয়ে ২জন নিহত হন। তারা হলেন- মৃতঃ ফিরোজ মিয়ার ছেলে সেলিম(১৮) হামিদ মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া (১৩)। অপর দিকে বজ্রপাতের শব্দ শুনে দেখতে গিয়ে আবু ইউসুফ মিয়ার ছেলে আবদুল্লাহ’র (২) মাথা আটকে যায় কাঠের জানালার ফাকে। পরে মাথা বের করতে না পেরে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে শিশুটি মারা যায়। মুরাদনগর থানা এসআই নুরুন নবী ও এসআই মোঃ বাদল জানায়, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাদেরকে দাফন করা ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
নরসিংদীতে ১: নরসিংদীর মনোহরদীতে বজ্রপাতে পিয়ারা বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার বড়চাপা ইউনিয়নের চরতারাকান্দি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। পিয়ারা বেগম চরতারাকান্দি গ্রামের কাজল মিয়ার স্ত্রী । জানা যায়, বাড়ির পাশে পিয়ারা বেগম কাজ করার সময় হঠাৎ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এ সময় পিয়ারা বেগম অচেতন হয়ে পড়ে। অচেতন অবস্থায় তাকে দ্রুত মনোহরদী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এ দিকে একই দিনে উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের তারাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশে বজ্রপাত হলে বিদ্যালয়ে ১৫ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। আহতদের মনোহরদী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন-৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিক, গল্প, রাবেয়া, রীমি, স্মৃতি, মারিয়া, হিয়া,৯ম শ্রেণির আঞ্জুমান, ৭ম শ্রেণির সাদিয়া, তাইবা, ৬ষ্ট শ্রেণির তামান্না, বৃষ্টি ও জান্নাত এবং তারাকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির নীরা ও সাবিহা আক্তার।
এছাড়া, বগুড়া জেলায় বজ্রপাতে ৩ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ সকালে ওই বজ্রপাতের ঘটনায় আহত তিন জনের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। আহতরা হলো- তেকানী চুকাই নগর ইউনিয়নের মহেশপাড়া গ্রামের মুকুল মিয়ার কন্যা দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী মিম খাতুন (৮),পূর্ব তেকানী গ্রামের ছারোয়ার হোসেনের পুত্র পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র বেলাল হোসেন (১২) ও মধুপুর ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা গ্রামের মহিদুল ইসলামের কন্যা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মাহমুদা খাতুন (৯)। একই সময় বজ্রপাতে আহত হয়েছেন সোনাতলা উপজেলা সংলগ্ন সাঘাটা উপজেলার পূর্ব কামারপাড়া গ্রামের চেনু বেপারীর স্ত্রী কোহিনুর বেগম (৪০)। আহতরা সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।