নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সংসদে অভিযোগ তুলে বলেছেন, সর্বনাশা ইয়াবা সারাদেশে সয়লাব হয়ে গেছে। আমরা ভেবেছিলাম আর যাই হোক এই মরণনেশা আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারবে না।
কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। রাজশাহীর পুলিশের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি দিয়ে শিক্ষকদের এই তালিকা পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যদি ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত হন তাহলে ছাত্রদের অবস্থা কী হবে, সারাদেশের অবস্থাটা কী হবে?
জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনের প্রথমদিনে মাগরিবের নামাজের বিরতির পর পয়েন্ট অব অর্ডারে তিনি এ অভিযোগ তোলেন। এসময় তিনি বিভাগের নামসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষকের নামও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি তারা শিক্ষকদের যেভাবে শ্রদ্ধা করতাম তা বলার মতো না। তারা ছিলেন আমাদের আদর্শ, তাদের আদর্শ ধারণ করে আমরা সামনে এগিয়েছি। কিন্তু আজকে সেই শিক্ষকরাই, ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। এই লজ্জা রাখি কোথায়?
ফিরোজ রশিদ আরো বলেন, ইয়াবার মতো দামী নেশাকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে শিশু অপহরণ বেড়ে গেছে। যখন তারা নিজেরা টাকা যোগার না করতে পারে তখন শিশু অপহরণ করে মুক্তিপণ চায়।
আর না হলে শিশুদের হত্যা করা হয়। সম্প্রতি তিন শিশু অপহরণ ও তাদের এক বন্ধুকে হত্যা করার পেছনে ইয়াবা সংক্রান্ত কারণ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
একইসঙ্গে ফিরোজ রশীদ বলেন, শরীয়তপুরের একটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছয় নারীকে শ্লীলতাহানি করে ভিডিও ছড়িয়েছে। এসব বিষয়ই ইয়াবার কুফল।
স্পিকার উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, গোটা জাতি এই সর্বনাশা নেশায় আক্রান্ত হচ্ছে। এটা ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে বড় ধরণের সমস্যায় পড়তে হবে বাংলাদেশকে। আমাদের অনেক অর্জন আছে। কোনো অর্জনই কাজে আসবে না যদি ইয়াবার ব্যবসা ও সিন্ডিকেট বন্ধ করতে না পারি।