ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচনকে সামনে রেখে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে সরকার দেশের জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
খসরু বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আইনি ব্যবস্থায় ফেলে আওয়ামী সরকার ফসল ঘরে তুলতে পারবে না। বরং তারা যে পথে চলছে সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিদায় হবে না, উচ্চ মূল্যে বিদায় নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘জনসম্পৃক্ত কোনো নির্বাচনের প্রতি ক্ষমতাসীন সরকারের আস্থা নেই, তা নিশ্চিত জেনেই তারা জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বাইরে রেখে আবারও ক্ষমতা দখল করতে চায়।
নির্বাচনের জন্য ইসি প্রস্তুত বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দেয়া বক্তব্যের সমালোচনায় সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, আপনারা প্রস্তুত কিন্তু নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের মানুষ কি প্রস্তুত? বাংলাদেশে যখন নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থায় আগামী নির্বাচনের পরিবেশ বা ক্ষেত্র তৈরি হবে, তখন দেশের মানুষ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবে। এর বাইরে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি কিংবা ষড়যন্ত্র হলে দায়ভার ষড়যন্ত্রকারী ও নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের কর্মসূচির একমাত্র অস্ত্র বিচার বিভাগ। যা বাংলাদেশের আইনের শাসনের রক্ষক, আর অভিভাবক হচ্ছে প্রধান বিচারপতি। যাকে সরকার প্রথমে ছুটি, দেশত্যাগ এবং সর্বশেষ পদত্যাগে বাধ্য করেছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারের সাথে জড়িত সকলকে একটি ম্যাসেজ দেয়া। এ সময় খালেদা জিয়াকে রাজনীতি ও নির্বাচনের বাইরে রাখার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ইকরামুল হক মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. শাহিদা রফিক, আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।