ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৃহস্পতিবার লন্ডনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমনওয়েলথ সম্মেলনের সাইডলাইনে এ বৈঠকটি হয়। এতে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ঢাকায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক লন্ডনে শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদির বৈঠক হওয়ার কথা নিশ্চিত করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফর করেন। তার আমলে দু’দেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় সম্পন্ন হলেও তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সই হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণে চুক্তি সই হতে পারেনি। ২০১৭ সালে ফিরতি সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত যান। ওই সময়েও তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সই হবে বলে আশা করা হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
এ ছাড়াও ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ায় ব্রিকস-বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনেও দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হয়। তবে বাংলাদেশ ও ভারতে সাধারণ নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা ও মোদির মধ্যে অনুষ্ঠিত লন্ডনের বৈঠকটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, তার আমলেই তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি হবে। ভারতের তরফে এখনও বলা হচ্ছে, তিস্তা চুক্তির চেষ্টা চলছে। এ চুক্তির ব্যাপারে ভারতে ঐকমত্য এখনও সম্পন্ন হয়নি। তিস্তা চুক্তি করা সম্ভব হলে মোদি বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে সফরে আসতে পারেন।
তিস্তা চুক্তির বাইরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। ভারতের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হচ্ছে যে, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়াসহ এ সংকট নিষ্পত্তির ব্যাপারে বাংলাদেশের অবস্থানকে ভারত সমর্থন করে।
মোদির সঙ্গে এ বৈঠকের আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেন। ওই সময়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের কর্মসূচি ও এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়।