আজকের প্রভাত ডেস্ক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল মহানগর উত্তরের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে এক বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘এই সরকার বিপ্লবের মধ্যে গঠিত হয়েছে। সরকারকে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। সেই প্রত্যাশা পূরণে ঘাটতি থাকলে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের চিন্তা অনুযায়ী কথা বলবে।’
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চাঁদাবাজি বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রাস্তার মোড়ে মোড়ে চাঁদাবাজদের ধরুন। অনেক সময় পুলিশ খাদ্যপণ্যের গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করছে। এগুলো বন্ধ করলেই দাম কমে আসবে। আমরা এটা বলি না যে, সরকারের কোনো লোক এটা করছে। কিন্তু শক্তিশালী প্রশাসনিক নির্দেশনা থাকলে রাস্তায় রাস্তায় চাঁদাবাজি হতো না।’
বিগত সরকারের আমলের চেয়ে স্বস্তি দিতে না পারলে মানুষ হতাশ হবে উল্লেখ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘দেশে যখন গণতন্ত্র ছিলো না, তখন আন্দোলন করতে হয়েছে। শেখ হাসিনার লাল চক্ষু উপেক্ষা করে বিশেষ করে তার প্রশাসনের সামনে বুকে সাহস নিয়ে তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয়েছে। তাদের অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন, অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ‘মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করবে। কেউ হুমকিতে থাকবে না। কিন্তু আপনারা প্রশাসনে শেখ হাসিনার দোসরদের যদি লালন-পালন করেন, আপনি নারায়ণগঞ্জে এসপি যিনি যুবদলের শাওন হত্যায় জড়িত সেই এসপিকে ডিসি হেডকোয়ার্টার বানান তাহলে আপনি সমাজ থেকে কীভাবে চাঁদাবাজি, খুনোখুনি ও হানাহানি বন্ধ করবেন।’
সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো ৫০ বছরেও কোনো সংস্কার করেনি, আপনারা যদি এমন অহংকার দেখান তাহলে মানুষ আপনাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেব। মনে করবে আপনারা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছেন। শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে গণতন্ত্র নিরুদ্দেশ করে দিয়েছিলেন। আপনারা সেই ভোটের অধিকার হয়তো ফিরিয়ে দিতে চান না, এই ধরনের ধারণা মানুষ করবে।’
এ সময় তাড়াতাড়ি যাতে নির্বাচন হয়, সেই আশাবাদ মানুষের কাছে তুলে ধরতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানান রুহুল কবির রিজভী।
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলক, দপ্তর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শামসুর রহমান শামসহ মহানগর উত্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।