নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের চিহ্নিত নেতাদের গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যলয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
প্রসঙ্গত, যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের দÐ হওয়ার পর দলটিকেও নিষিদ্ধ করে আদালত। স্বাভাবিক কারণেই দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না জামায়াত নেতারা। এরও আগে নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লাকে মার্কা হিসেবে ব্যবহার না করার নির্দেশ দেন আদালত। আর দলটির মার্কা দাঁড়িপাল্লা।
সর্বশেষ জামায়াত নেতারা স্বতন্ত্র কিংবা ২০ দলীয় জোটের প্রধান বিএনপির হয়ে কোনো কোনো আসনে নির্বাচন করতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিল। তার মধ্যেই এ ধরনের কথা বললেন নির্বাচন কমিশনার।
‘জামায়াত একটি সন্ত্রাসী দল’: ২০১৩ সালের পহেলা আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট৷ বিচারপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন, ইনায়েতুর রহিম এবং কাজী রেজা-উল-হকের সমন্বয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ তাদের রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন৷
রায়ে বলা হয়, ‘জামায়াতের গঠনতন্ত্র শুধু সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিকই নয়, জামায়াত একটি সন্ত্রাসী দল৷’
এর আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কয়েকটি সংগঠন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ২০০৯ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে জামায়াতের গঠনতন্ত্র সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে উল্লেখ করা হয়। সেই রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে রায় ঘোষণা করেন আদালত৷
১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর চূড়ান্ত স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ৷ সেই সময় জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল৷
২০১০ সালে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণ হয়। অপরাধ প্রমাণ হওয়া এ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর পাঁচজনের মৃত্যুদÐ কার্যকর করা হয়েছে।