নিজস্ব প্রতিবেদক : মেয়াদোত্তীর্ণ অটোরিকশা অপসারণে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনের নেতারা।
ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আজিজুল হক মুক্ত বলেন, ‘মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি চালাতে গিয়ে নানা দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। রাস্তায় চলন্ত অবস্থায় গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। এরই মধ্যে মালিকরা মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ির মেয়াদ বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে। আমরা মন্ত্রী ও বিআরটিএর কাছে অনুরোধ জানাই মেয়াদ বৃদ্ধি না করে আমাদের চালকদের নামে বরাদ্দকৃত গাড়ি দ্রুত চালকদের মাঝে বিতরণ করা হোক।’
চট্টগ্রাম জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমরা উবার, পাঠাওয়ের বিপক্ষে নয়, তবে তাদেরকে সিএনজির মত নীতিমালার আওতায় আনা হোক। প্রয়োজনে আমরাও অ্যাপসে সিএনজি অটোরিকশা চালাব।’
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আট দফা দাবি বাস্তবায়নে শ্রমিক সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
আট দফা দাবি হলো- ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলরত মেয়াদোত্তীর্ণ অটোরিকশা অপসারণ করে নতুন গাড়ি প্রতিস্থাপন করতে হবে, ঢাকা মহানগরীর চালকদের নামে ৫ হাজার এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর চালকদের নামে ৪ হাজার বরাদ্দকৃত সিএনজি বিতরণ করতে হবে, বিআরটিএ কর্তৃক অনুমোদনহীন উবার, পাঠাওসহ যেকোনো অবৈধ অ্যাপসে যান চলাচল বন্ধ করতে হবে, পরিবহন আইন ২০১৭ হতে শ্রমিক স্বার্থবিরোধী সকল ধারা-উপধারা বাতিল করতে হবে, পেশাজীবী ড্রাইভিং লাইসেন্স সহজ করে প্রশাসনিক হয়রানিসহ নানা অজুহাতে অর্থবাণিজ্য বন্ধ করতে হবে, ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না করে নো-পার্কিং মামলা দেওয়া যাবে না এবং ঢাকা জেলার রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সকল সিএনজি অটোরিকশা অবাধে চলাচল করতে দিতে হবে।
শ্রমিক সমাবেশে ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আজিজুল হক মুক্তর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য নাজমুল হক প্রধান, চট্টগ্রাম জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খোকন, ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক চৌধুরী, সদস্য সচিব সাখাওয়াত হোসেন দুলাল প্রমুখ।