ঢাকা: জনগণ সচেতন না হলে জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বর্ষা মৌসুমে ঢাকা মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে প্রস্তুতি ও কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনার লক্ষ্যে ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এ. এফ. হাসান আরিফ বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আমাদের মন্ত্রণালয়ের অভিজ্ঞতা এবং এ বিষয়ে যারা বিশেষজ্ঞ, যাদের এ বিষয়ে লেখালেখি ও গবেষণা রয়েছে, তাদের কথা আমরা শুনবো। তাদের বিজ্ঞ মতামত গ্রহণ করবো এবং সেটাকে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা আমরা করবো।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, একটা শহরের মধ্যে কেন পানি থাকবে? যেখানে এত কোটি কোটি টাকা খরচ করে ড্রেনেজ সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে, তাহলে গলদ কোথায় সেটা আমরা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জানবো। আশা করি আপনারাও (সাংবাদিক) এই বিষয়টি প্রচার করবেন এবং জনগণকে সচেতন করবেন।
তিনি আরও বলেন, নর্দমায় প্লাস্টিকের বোতল, ওয়ান টাইম ইউজ প্লাস্টিক কাপ, প্লাস্টিকের ব্যাগ আর ডাবের খোসা মন্ত্রণালয় গিয়ে ফেরে আসে না, জনগণই ফেলে, সুতরাং সেখানে তাদেরকেই সচেতন করতে হবে। আমাদের পরিছন্নতা কর্মী পাঁচটা পরিষ্কার করবে, ইতিমধ্যে আরও ৫0টি ফেললো।
তাহলে ৪৫ টা থেকেই যাচ্ছে। যার পরিণতিতে আমরা আজকে জলাবদ্ধতা পাচ্ছি। এই ময়লা আবর্জনা একদিনে পরিষ্কার করা সম্ভব নয় সেটাও আপনাদেরকে বিবেচনায় নিতে হবে। ১৫ বছরের জঞ্জাল একদিনে পরিষ্কার হবে না। আমরা সচেষ্ট রয়েছি কিনা, মাঠে নামছি কিনা সেটা আপনারা দেখবেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রিন্ট এবং ইলেকট্রিক মিডিয়া থেকে যে সকল তথ্য পেয়েছি, তার ভিত্তিতেই আজকের এই আলোচনা সভার আয়োজন। এই ক্রেডিট আমার না এই ক্রেডিট আপনাদের (গণমাধ্যম)। এজন্য গণমাধ্যমকে অসংখ্য ধন্যবাদ। গণমাধ্যমের কাছে আমার চাওয়া জনগণকে সচেতন করা। জনগণ সচেতন না হলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে না। জনগণ সচেতন না হলে এক কোটি পরিছন্নতা কর্মী দিয়েও পারব না।