রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

আগামীর বাংলাদেশ আমরা তরুণদের হাতেই তুলে দেব: জামায়াতে আমির

editor
ডিসেম্বর ২১, ২০২৪ ৭:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এসএম জুবায়ের : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সাড়ে ১৫ বছর আমরা দফায় দফায় অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। কিন্তু সেই আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটাতে পারিনি। আমি গর্বিত আমাদের সন্তানেরা সেই কাজটি করেছে। আমি আমাদের সন্তানদের ভালোবাসা উপহার দিচ্ছি। জাতির পক্ষ থেকে তাদের স্যালুট জানাচ্ছি। আল্লাহ্তায়ালার সাহায্যে তারা অসাধ্য সাধন করেছে। এ রকম সন্তান পেয়ে জাতি গর্বিত। আগামীর বাংলাদেশ আমরা তাদের হাতেই তুলে দেব।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা জামায়াত আয়োজিত জেলা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলার আমির ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ দেশটাকে শ্মশান-গোরস্থানে পরিণত করেছিল। এরা মাঝেমধ্যে বলতো দেশে নাকি অনাবিল শান্তি বিরাজ করছে। আমরা বলতাম শান্তি তোমরা কায়েম করেছো কবরের মতো। যেখান থেকে হাসি কিংবা কান্নার শব্দ শোনা যায় না। কবরস্থানে কোনো মানুষ থাকে না। হাসি কান্নার আওয়াজ শোনা যায় না। ২৮ অক্টোবর তারা লাশের ওপর নর্দন করেছে। তখনই তারা জানান দিয়েছিল যে, ক্ষমতায় এসে খুন-গুমের রাজ্য কায়েম করবে।
তিনি বলেন, আজকে যুবকরা বলছে- আওয়ামী লীগ আমাদের ভোট চুরি করেছিল। তিনটা নির্বাচন আজ যাদের বয়স ৩০ থেকে ৩২ বছর; তারা একটা ভোটও দিতে পারেনি। তাদের সমস্ত ভোটকে জেনুসাইড করেছিল, গণহত্যা করেছিল। ভোটের গণহত্যা। এদের নৈতিক সাহস ছিল না দেশে থাকার। এ জন্য দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। পালাতে গিয়ে কারও কারও অবস্থা এমন হয়েছিল যে, রসিক সিলেটবাসী তাদের কলাপাতায় শুয়ে দিয়েছিল। তারা আওয়ামী লীগের খুনি-সন্ত্রাসী। তারা রাজনীতিবিদ নয়। এদের বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে। জাতিকে এরা ৫৩ বছর বিভিন্ন কায়দায় ফ্যাসিজমের মাধ্যমে দ্বিধাবিভক্ত করে রেখেছে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, বিপক্ষের শক্তি, মেজরিটি শক্তি, মাইনরেটি শক্তি কতভাবে যে ভাগ করেছে এরা।
তিনি নিজ জেলার প্রতি ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, মৌলভীবাজার জেলায় ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এগ্রিকালচার বিশ্ববিদ্যালয় নেই; কেন? মৌলভীবাজার কী অপরাধ করেছে? তিনি বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চা-বাগান রয়েছে মৌলভীবাজারে। রাষ্ট্রীয় যথাযথ পর্যবেক্ষণ না থাকায় চা শিল্প ধ্বংস হওয়ার পথে। মালিকপক্ষ চায়ের যথাযথ মূল্য পান না। শ্রমিকরাও পারিশ্রমিক পান না। তিনি নেতাকর্মীদের চারটি বিষয় তুলে ধরে এরমধ্যে নিয়ত সহীহ করে জ্ঞানের রাজ্যে এগিয়ে গিয়ে সাহসী হয়ে কঠোর পরিশ্রম করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
জেলার সেক্রেটারি মো. ইয়ামির আলী ও সহকারী সেক্রেটারি হারুনুর রশিদের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাড. এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মো. ফখরুল ইসলাম ও সিলেট জেলার আমির মাওলানা হাবিুবুর রহমান।
আরও বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলার আমির কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলার সাবেক আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মুতলিম, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি আহবায়ক ফয়জুল কবির ময়ূন, জেলা হেফাজতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মাওলানা আব্দুস সবুর, মৌলভীবাজার জেলার নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমানসহ জেলা, বিভাগ ও কেন্দ্রীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

Please follow and like us:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial