ডেস্ক রিপোর্ট: সবচেয়ে কার্যকর এবং সবচেয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না যদি সরকারি দল এবং সরকার না চায় বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাতকারে সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার এসব কথা বলেন।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রশাসনের লোকজন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তারা তাদের মত,পদ এবং ভিন্নতা দেখাতেই পারে। এখন নদীতে অনেক জল গড়িয়েছে। তবে এখন এটা সম্ভবপর হবে কিনা আমরা নিশ্চিত না। সবচেয়ে শক্তিশালী, সবচেয়ে কার্যকর এবং সবচেয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না।
একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখনও অনেক অমীমাংসিত বিষয়ের সুরাহা হয়নি। এর মাঝে নির্বাচনী মহাসড়কে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন বড় দুটি জোট। এ অবস্থায় সামনে মাঠ প্রশাসনে রদবদল এবং কূটনৈতিক চাপ বাড়লে রাজনীতি উত্তপ্ত হবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। তাদের মতে, সব দল প্রস্তুতি নিলেও অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সংকট কাটেনি।
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে হতে পারে সংসদ নির্বাচন। সেই হিসেবে সময় বাকি মাত্র ৬ মাস। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল আগে থেকেই সরব মাঠে এবং অনেকটা বেছে রেখেছে প্রাথী বাছাইও।
অন্যদিকে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে আছে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট এবং ভিতরে ভিতরে নির্বাচনী প্রস্তুতিও সেরে নিচ্ছে তারা।
দলগুলোতে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে ভোটের প্রস্তুতি থাকলেও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচন নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেন, নির্বাচনে বিএনপি যাবে কিন্তু রক্ষা করার জন্য যাবে না কি ভাঙ্গার জন্য যাবে সেটা ভিন্ন কথা। আর নির্বাচনে বিএনপি যাবে এ কারণে যে এবারের নির্বাচনে বিএনপির না যেয়ে উপায় নেই।
নির্বাচন ঘনিয়ে এলে মাঠ প্রশাসনে বদলি, পদায়নে দলীয়করণ আরও বাড়বে না কি এবার ভিন্ন সমীকরণ দাড়াবে এই নিয়ে আছে নানা বিশ্লেষণ। চোখে পড়তে পারে প্রতিবেশী ভারত ও পশ্চিমা দেশগুলোর তৎপরতা।
এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য এখনও অনেক প্রশ্নের সমাধান হয়নি। আর রাজনীতিতে আপাতত সমঝোতার সম্ভাবনা নেই। তবে এবার একতরফা নির্বাচনও কঠিন হবে।