News update
  • গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর আরও জোর দেওয়ার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান     |     
  • আহ্বায়ক টিএইচএম জাহাঙ্গীর ও সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন     |     
  • মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গর্ভনরেরা     |     
  • শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি' আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ      |     
  • দেশে বছর দেড় লাখ মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত হচ্ছে- ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মতামত      |     
খবর 2025-10-28, 8:55pm

সরিষাবাড়ীতে ওষুধের দোকানে কর্মচারীর রহস্যজনক মৃত্যু, ধামাচাপার চেষ্টা

img-20251028-wa0005-0484c5585a09a675d76a97fdcd14b2881761663308.jpg


এস. এম. খুররম আজাদ: জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার শিমলা বাজারে একটি ওষুধের দোকানে কর্মরত কিশোর বিশাল মিয়া (১৭)-এর রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে।

দোকানমালিক ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত বিশাল মিয়া টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার কেরামজানি গ্রামের ভ্যানচালক সাগর মিয়ার ছেলে। তিনি আরডিএম মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন এবং পড়াশোনার পাশাপাশি শিমলা বাজারের সুমন ফার্মেসিতে ওষুধ বিক্রেতা হিসেবে কাজ করতেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে দোকানমালিক সুজিৎ কুমার রায় সুমনের জন্মদিন উপলক্ষে ফার্মেসির ভেতরে পার্টির আয়োজন হয়, যেখানে বিশালও উপস্থিত ছিল।

পরদিন সোমবার সে যথারীতি দোকানে আসে। বিকেলের দিকে ফার্মেসির ভেতরের কক্ষ থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, “হাসপাতালে আনার আগেই সে মারা গেছে।”

পরে এলাকায় প্রচার করা হয়, বিশাল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

ঘটনার পর থেকেই দোকানমালিক পক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। নিহতের হতদরিদ্র বাবা সাগর মিয়া সন্ধ্যায় লাশ হাতে পেয়ে ইস্পাহানীর ভাড়া বাসায় নিয়ে যান এবং রাতেই প্রশাসনের অগোচরে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

খবর পেয়ে পুলিশ রাস্তা থেকে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

স্থানীয়রা জানান, “সুমন ফার্মেসিতে সারাদিনই ক্রেতা ও কর্মচারীদের উপস্থিতি থাকে। সেখানে কেউ একা থেকে আত্মহত্যা করতে পারে—এটা বিশ্বাস করা কঠিন।”

তারা আরও জানান, ফার্মেসিতে প্রেসক্রিপশনের ওষুধ না থাকলে কর্মচারীরা অন্য দোকান থেকে এনে দেয়। এসময় সামান্য দেরি হলে মালিক সুজিৎ কুমার রায় কর্মচারীদের প্রতি রূঢ় আচরণ করতেন।তাদের মতে, “বিশালের মৃত্যু রহস্যজনক এবং পরিকল্পিত হতে পারে।”

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দেবাশীষ রাজবংশী বলেন, “সন্ধ্যার পর গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় একজন রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়, কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল।”

ফার্মেসির মালিক সুজিৎ কুমার রায় সুমন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি; তিনি অসুস্থতার অজুহাত দেখান।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হাসান বলেন, “পরিবার লাশটি বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিল, খবর পেয়ে আমরা রাস্তা থেকে উদ্ধার করি। অপমৃত্যু মামলা দায়েরের পর লাশটি মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, “ফার্মেসির মূল অংশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে, তবে ভেতরের রুমে ক্যামেরা ছিল না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”