News update
  • গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর আরও জোর দেওয়ার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান     |     
  • আহ্বায়ক টিএইচএম জাহাঙ্গীর ও সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন     |     
  • মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গর্ভনরেরা     |     
  • শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি' আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ      |     
  • দেশে বছর দেড় লাখ মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত হচ্ছে- ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মতামত      |     
আজকের প্রভাত ডেস্ক খবর 2025-05-28, 11:45am

লালমনিরহাট বিমানবন্দর : ভারতের না

lalmonirhat-6835ba108ba28-636503321ef710c1fadfacb4da3ea6731748411131.jpg


বাংলাদেশ লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালুর  বিষয়ে ভারত প্রকাশ্য বিরোধিতায় নেমেছে। লালমনিরহাটে বিমানবন্দর চালু করার ঘোষণার পর দেশটি ত্রিপুরা রাজ্যের পুরোনো একটি বিমানবন্দর সংস্কারের কাজ শুরু করেছে।  বেসামরিক কাজে ব্যবহৃত হলেও - যুদ্ধকালীন সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমানগুলোর উড্ডয়ন, অবতরণ এবং জ্বালানি ভরার সুযোগ করে দেয়ার গোপন পরিকল্পনায় নেমেছে দেশটি।এতে বলা হয়, চীনের সহযোগীতায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার লালমনিরহাটে অবস্থিত একটি বিমান ঘাঁটি পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ। যেটি রংপুর বিভাগে অবস্থিত। যা ভারতীয় প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের লোকদের কাছে উদ্বেগের বার্তা দিয়েছে। তারা মনে করছে, লালমনিরহাটের বিমান ঘাঁটিটি পুনরায় সক্রিয় করার ফলে আক্ষরিক অর্থেই দিল্লির দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে বেইজিং। কেননা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ওই বিমান ঘাঁটির দুরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। এছাড়া শিলিগুড়ি করিডোর থেকেও লালমনিরহাটের দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। যেটি মাত্র ২২ কিলোমিটার প্রশস্ত ভূমি নিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যকে ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত করেছে। এই করিডোরটি চিকেন নেক নামেও পরিচিত। যার পশ্চিমে নেপাল এবং উত্তরে ভূটানের সীমান্ত রয়েছে। এ দুদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক স্থিতিশীল। এছাড়া ২০১৮ সালে বিলুপ্ত ২৪০ বছরের পুরনো হিন্দু রাজতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে নেপালের জনগণ। তবে ওই করিডোরের দক্ষিণ সীমান্তে লাল সংকেত ঝুলছে। যদি চীনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ বিমান ঘাঁটিটি পুনরায় সচল করে তাহলে সেখানে চীন তাদের সামরিক সরঞ্জাম- যুদ্ধবিমান, রাডার ও নজরদারির সরঞ্জামসহ বিভিন্ন কিছু রাখতে পারে বলে ভারতের শঙ্কা। এই উদ্বেগের কারণে ভারত উত্তর ত্রিপুরার কৈলাশহরে তিন দশকের পুরনো একটি বেসামরিক বিমানবন্দরের সংস্কার কাজ শুরু করেছে। এনডিটিভি বলছে,  এটি সম্ভবত বেসামরিক ব্যবহারের জন্যই থাকবে, তবে উত্তর-পূর্বের অন্যান্য প্রধান বিমানবন্দরের মতো, যুদ্ধের সময় বা জরুরি পরিস্থিতিতে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান এবং বিমানগুলিকে উড্ডয়ন, অবতরণ এবং জ্বালানি ভরার সুযোগ করে দেয়ার সুবিধাযোগ্য করে তোলা হবে। এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনে ভারত যে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হারিয়েছে সে বিষয়টিকেও মাথায় রেখে নতুন করে ওই বিমানবন্দরটি চালু করতে চাইছে ভারত। কেননা ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলে চীনের উপস্থিতির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে ছিলেন হাসিনা। কিন্তু ছাত্র আন্দোলনে তার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে, সেটি ভারতের প্রতি ‘কম বন্ধুত্বপূর্ণ’। এসব বিষয় মাথায় রেখে লালমনিরহাটে পুনরায় বিমানবন্দর চালু করার বিষয়টি নেতিবাচকতার সঙ্গে নিয়েছে দিল্লি।