ডেস্ক রিপোর্ট: বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে একে একে চিকিৎসাধীন চার শিক্ষার্থীই তাদের পরিবার-পরিজন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী, শিক্ষকও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
জানা যায়, গত রোববার রাত ১টায় ময়মনসিংহের ভালুকায় বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মো. তৌহিদুল ইসলাম। দুর্ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে মো. শাহীন মিয়া, বৃহস্পতিবার রাতে মো. হাফিজুর রহমান এবং শুক্রবার সকালে দীপ্ত সরকার নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববদ্যিালয় (কুয়েট)’র চার মেধাবী শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, ‘ শনিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিনের শোক পালন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ’
দুর্ঘটনার সঠিক কারণ উদঘাটন এবং ভবিষ্যতে আইনগত সুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, বিসিএসআইআরের বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমন্বয়ে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
এদিকে ঘটনার দিন রাতেই আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ছুটে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। ঢাকায় অবস্থানরত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধানসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এত দিন হাসপাতালে অবস্থান করে চিকিৎসার সব ধরনের সহযোগিতা নিশ্চিত করেন। কিন্তু সব চেষ্টা বিফল করে সবাইকে চোখের জলে ভাসিয়ে চিরবিদায় নিল কুয়েটের মেধাবী চার শিক্ষার্থী।
প্রসঙ্গত, গত রোববার রাত ১টায় ময়মনসিংহের ভালুকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কুয়েটের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের চারজন শিক্ষার্থী গত ১০ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল ২০১৮ তারিখ পর্যন্ত স্কয়ার গ্রুপেরএকটি টেক্সটাইল মিলে এক মাসের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্টের (ইন্টার্নি) জন্য ময়মনসিংহের ভালুকার মাস্টারবাড়ি এলাকার একটি ৬ তলা ভবনের ৩ তলায় অবস্থান করছিলেন।
