আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ওয়াশিংটনের ছোট আকারের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনাকে ‘স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা’ আখ্যা দিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। রবিবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে ওই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে চীনের কৌশলগত পারমাণবিক নীতিকে বোঝার আহ্বান জানানো হয়েছে।
নিউক্লিয়ার পসচার রিভিউ (এনপিআর) নামে পরিচিত মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনের নীতিনির্ধারণী এক নথি থেকে শুক্রবার নতুন মার্কিন পরমাণু পরিকল্পনার কথা জানা যায়। ওই পরিকল্পনায়, রাশিয়াকে মোকাবিলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রে বৈচিত্র্য আনা এবং নতুন ধরনের ছোট আকারের পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী। নথিতে মার্কিন পরমাণু সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। আকারে বড় হওয়ায় মার্কিন পরমাণু বোমার ব্যবহার বেশ কঠিন। এসব অস্ত্র এখন আর আগের মতো কার্যকর না। ছোট আকারের পারমাণবিক বোমা প্রস্তুত করা গেলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে যুক্তি তুলে ধরা হয় নথিতে। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় রাশিয়া। তারই ধারাবাহিকতায় এবার চীনের তরফ থেকেও মার্কিন নীতির সমালোচনা করা হলো।
চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, পেন্টাগনের নতুন পারমাণবিক পরিকল্পনার কঠোর বিরোধিতা করছে তারা। বেইজিং-এর প্রতিরক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে নিজেদের পারমাণবিক নীতিকে প্রতিরক্ষামূলক বলে দাবি করে বলা হয়, ওয়াশিংটন চীনের পারমাণবিক হুমকি মোকাবিলার জন্যই এই পদক্ষেপ নিচ্ছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আশা করবো যুক্তরাষ্ট্র স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা পরিহার করে আন্তরিকভাবে নিরস্ত্রীকরণের তাগিদ বোধ করবে।’ চীনের কৌশলগত উদ্দেশ্য বুঝে দেশটির জাতীয় প্রতিরক্ষা এবং সামরিক বাহিনীর সক্ষমতাকে বস্তুনিষ্ঠভাবে ওয়াশিংটনকে দেখতে আহ্বান জানানো ওই বিবৃতিতে। বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিধর দেশটির অস্ত্র বাড়ানোর প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসে বরং এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া উচিত।