নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে যুব সমাজকে গড়ে তুলতে হবে। খেলাধুলাই পারে ছেলেমেয়েদের সুস্থভাবে বেড়ে উঠার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে।’ শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম বাংলাদেশ যুব গেমসের চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি। তিনি যুব গেমস আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুব গেমসের মাধ্যমে সারা দেশে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। খেলাধুলা একজন যুবককে শৃঙ্খলাবোধ ও অধ্যবসায় শেখায়, দায়িত্ববোধ তৈরি করে। লেখা-পড়ার সঙ্গে খেলাধুলা, সংস্কৃতিক চর্চা একান্ত প্রয়োজন। যুব গেমসের মাধ্যমে ক্রীড়াবিদরা ঢাকায় আসার সুযোগ পেয়েছে, এরা একদিন বাংলাদেশকে অলিম্পিক থেকে পদক এনে দেবে। সরকার খেলাধূলা প্রসারে চেষ্টা করেছে। আমরা অবকাঠামোগত উন্নয়ণ করেছি, দেশীয় খেলার চর্চার জন্যও দৃষ্টি দিয়েছি। ক্রীড়াবিদদের মানোন্নয়ণে স্টেডিয়াম নির্মাণ ও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।’
ক্রীড়াঙ্গনের সাফল্য সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা ভারত,পাকিস্তান,দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছি। আমাদের প্রতিবন্ধীরাও পিছিয়ে নেই, বিশেষ অলিম্পিক থেকে তারা পদক আনছে। ইতোমধ্যে ফুটবল, ক্রিকেটে আমাদের ছেলেরা এগিয়ে গেছে, আমার বিশ্বাস ক্রিকেটে আমরা একদিন বিশ্বকাপ জিতব। মেয়েরাও পিছিয়ে নাই, অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৪ ফুটবলে মেয়েরা তাদের সাফল্যের প্রমাণ রেখেছে।’
প্রধানমন্ত্রী গেমসে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘তোমরা প্রত্যেকে হয়ে উঠবে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত,সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদমুক্ত উন্নত,সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মানের কারিগর। প্রথমবারের মতো যুব গেমস আয়োজনের মাধ্যমে খেলাধুলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুপ্ত প্রতিভা উদ্ভাসিত হবে এবং জন সাধারনের আগ্রহ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশা করছি।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বিওএ সভাপতি সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক বলেন, ‘যুব গেমস দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বড় অবদান রাখবে। নতুন ক্রীড়াবিদ তৈরি করার লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায় থেকে যুব গেমস আয়োজন। এই ক্রীড়াবিদরা একদিন আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে সোনালী সাফল্য এনে দেবে বাংলাদেশকে।’
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘দেশের ক্রীড়াবিদদের এগিয়ে নিতে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে সরকার। ছেলে-মেয়েদের সুস্থ পরিবেশে বেড়ে উঠতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলার মধ্যে রাখতে সরকার সেই চেষ্টা করছে।’