ডেস্ক রিপোর্ট : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ নিয়ে বলতে গিয়ে স্বভাবসুলভ হাস্যরসে নিজের সময়ে অসাধু পন্থার বিষয়ে দৃঢ় নৈতিক অবস্থানের কথা জানালেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
“ছাত্র খারাপ ছিলাম। কিন্তু গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, আমার ছাত্রজীবনে নকল করি নাই। কারণ না পারলে ফেল করব; চুরি করে পাস করব, এটা হতে পারে না।”
মঙ্গলবার বঙ্গভবনের কেবিনেট হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ।
ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতিতে যুক্ত আবদুল হামিদের পরীক্ষাজীবন যে উজ্জ্বল নয়, তা তিনি নিজ মুখেই বলেন। ম্যাট্রিক পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ এবং আইএ পরীক্ষায় এক বিষয়ে রেফার্ড পেয়েছিলেন তিনি।
কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক টানে আবদুল হামিদ বলেন, “ (পরীক্ষার হলে) পাশের কোনো ছাত্রকে জিজ্ঞেস করি নাই, এইডা বুঝতাছি না। না বুঝলে না বুঝব, যা বুঝছি তা লেইখ্যা দিয়া আইয়া পড়ছি।”
পরীক্ষার সময় পাশে বসা সহপাঠীকে কেন জিজ্ঞেস করতেন না, তা বলতে গিয়েই রসিকতার সুর আবদুল হামিদের কণ্ঠে।
“ছাত্র খারাপ হইলেও নেতাগিরি করা যায়। ওই নেতাগিরি করতে গিয়া ভাবছি, এ্যারে যদি জিজ্ঞাসা করি, তাইলে বাইরে গিয়া বলবো হামিদ সাব জিগাইছে আমারে। এটা বললে আমি মনে করছি প্রেস্টিজ নিয়া টানাটানি পড়বে।”
বেসরকারি ৫৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে আবদুল হামিদ বলেন, “আপনারা আমার চেয়ে বেশি শিক্ষিত। ভালো লেখাপড়া জানেন। আমি ছাত্র হিসেবে খারাপ ছিলাম (এসময় সবাই হেসে ওঠেন)। আপনাদের মতো টিচার হওয়ার প্রশ্নই আসে না।”
“অবশ্য রাষ্ট্রপতি হইছি কোন কপাল গুণে, এটা বুঝি না। অত বিদ্যার দরকার পড়ে না বলে মনে হয় হয়ে গেছি,” বলেন টানা দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হতে যাওয়া আবদুল হামিদ। বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সার্টিফিকেট বাণিজ্য’ চলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি।