ঢাকাTuesday , 30 January 2018
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নৌকা উন্নয়নের পথ দেখায়, নৌকায় ভোট চাই: প্রধানমন্ত্রী

editor
January 30, 2018 12:15 pm
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক: নৌকা দেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নৌকা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। নৌকা উন্নয়নের পথ দেখায়। আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে আমরা আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই। আপনারা হাত তুলে ওয়াদা করুন, নৌকায় ভোট দেবেন।’ মঙ্গলবার সিলেটের সরকারি আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ শুরু করেছি। এই নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করেছি সিলেট থেকে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর সরকার গঠন করে পাঁচ বছরে আমরা পদার্পণ করেছি। সামনে নির্বাচন। নৌকা মার্কায় আপনারা ভোট দিয়েছিলেন। আজ বাংলার গ্রামে গ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমাদের আহ্বান, আপনারা অতীতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন। এই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। এই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, সম্মান পেয়েছে। আমরা এই দেশে কোনও অন্যায়-অবিচারকে বরদাস্ত করবো না। কোনও জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের চিন্তা-চেতনা আর ওদের (বিএনপি-জামায়াত) চিন্তা-চেতনায় তফাৎ কোথায়, তা আপনারাই বুঝতে পারবেন। যারা এতিমের টাকা মেরে খায়, যারা জনগণকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারে, যারা মানুষ সেজে ধ্বংস করতে জানে, দেশকে ধ্বংস করতে জানে, বাংলাদেশকে পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করে তারা কীভাবে একটা দেশের উন্নতি করবে? যারা নিজেদের ভিক্ষুক হিসেবে অন্যের কাছে হাত পেতে চলতে চায়।’
বাংলাদেশ হাত পেতে চলবে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নত হবে, সমৃদ্ধশালী হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের সুনাম হয়। বিএনপি জোট ক্ষমতায় বাংলাদেশ তিরস্কৃত হয়। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাই হয়ে যায় তাদের মূল কাজ। এই বাংলাদেশকে উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আপনারা একবার চিন্তা করে দেখুন, ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ যদি পুনরায় ক্ষমতায় না আসতো, উন্নতি হতো না। উন্নয়নের ছোঁয়া আপনারা পেতেন না, দেশবাসী পেতো না। কারণ লুটেরা এলে লুটপাট করে খেতো আর সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ চালাতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে বলেই দেশের উন্নয়ন হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই সিলেটে বিএনপি যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তাতে অনেক নেতাকর্মী আমরা হারিয়েছি। সিলেটে কোনও না কোনও দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকতো।বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে তাদের সন্ত্রাসী ক্যাডাররা আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। বিএনপি-জামায়াত ইসলামের নামে রাজনীতি করে, মসজিদে বোমা মারে।’
বিএনপি সারা দেশের প্রায় ১৪/১৫টি শহরে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড, হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা গাছ লাগাই, তারা গাছ কাটে। জনগণের সম্পদ ধ্বংস করে। তারা দুর্নীতি, লুটপাট করেছে। বিএনপি ধ্বংস করতে জানে, সৃষ্টি করতে জানে না। চলন্ত বাসে আগুন দিয়েছে, রেল গাড়িতে আগুন দিয়েছে। পাঁচ শ মানুষকে হত্যা করেছে। জীবন-জীবিকার পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি এই কয় বছরে হাজার হাজার গাড়ি পুড়িয়েছে। এই ধরনের আন্দোলন আমরা কখনোই দেখিনি। আন্দোলন জনগণের জন্য, জনগণের দাবি আদায়ের জন্য। যখন জনগণ প্রতিরোধ করেছে, তখন তারা থমকে দাঁড়িয়েছে। দেশের ভাবমূর্তি তারা ধ্বংস করেছে।’ এ সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করে দেওয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে সবার হাতে মোবাইল ফোন আছে? কে দিয়েছে এই মোবাইল ফোন? আমরা আওয়ামী লীগ সরকার। কম্পিউটারের ওপর থেকে ট্যাক্স প্রত্যাহার করে প্রযুক্তি শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আট কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে।’ তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। চা না হলে আমাদের চলে না। সেই চা’র উৎপাদন বৃদ্ধি করার পাশাপাশি শ্রমিকদের উন্নয়নে কাজ করছি। সিলেট থেকেই যেন নিলাম হয়, সেই ব্যবস্থা করছি। প্রত্যেকটি এলাকায় আমরা বিশেষ অঞ্চল করে দিচ্ছি। সিলেটে আমরা বিশেষ অঞ্চল করে দিচ্ছি। যেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হবে। সেই ক্ষেত্রে আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিরা অগ্রাধিকার পাবে। ’
সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৮ হাজার ৪০০ পোস্ট অফিসকে আমরা ডিজিটাল সেন্টারে পরিণত করেছি। যেন মানুষ ঘরে বসে সেবা পায়। এই সিলেটে একটা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে দিচ্ছি, যেন এখানে বসেই পড়ালেখা করে আপনারা বড় চিকিৎসক হতে পারেন।’ তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন, প্রতিটি মানুষ পেট ভরে ভাত খাবে। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে। একটি মানুষও না খেয়ে থাকবে না। আমরা সেই স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের হতদরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্যশস্যর ব্যবস্থা করি। প্রবাসীদের জন্য তিনটি ব্যাংকের পারমিশন দেওয়া হয়েছে। আমরা বিভিন্নভাবে এই দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি।’
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।