প্রথমবারের মতো ১২টি জেলায় তীর আরচ্যারি প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচী

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় এবং সিটি গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় “তীর গো ফর গোল্ড” প্রজেক্টের আওতায় প্রথমবারের মতো ১২টি জেলায় মেধাবী খেলোয়াড়ের খোঁজে ‘তীর আরচ্যারি প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচী’ নিয়ে মাঠে নামছে। ২০২০ সালে টোকিও অলিম্পিকে পদক জয়ের লক্ষ্য নিয়ে তীরন্দাজদের প্রস্তুত করছে বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশন। এ পর্যায়ে ফরিদপুর, চুয়াডাঙ্গা, জয়পুরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, রাজশাহী, নড়াইল, বান্দরবান, বাগেরহাট, চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ ও ঢাকা জেলায় হবে এই কর্মসূচী। পর্যায়ক্রমে দেশের ৬৪ জেলাকেই এই প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির আওতায় আনবে ফেডারেশন।
প্রাথমিক পর্যায়ে এ প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি পরিচালনার জন্য আরচ্যারি ফেডারেশনকে ৪৫ লাখ টাকা দিচ্ছে সিটি গ্রুপ। প্রতি জেলা পাবে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করে। জেলার বাছাই কার্যক্রম হবে জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে। বাছাইয়ের জন্য কোচ পাঠাবে ফেডারেশন। শনিবার দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ডাচ্-বাংলা মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল, সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) শোয়েব মোঃ আসাদুজ্জামান, আরচ্যারি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান সিদ্দিকী, প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক আনিসুর রহমান দিপু ও নির্বাহী সদস্য ফারুক ঢালী। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল বলেন, জেলা পর্যায়ে বাছাই কৃতদের নিয়ে ৮ দিনের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প করা হবে। প্রাথমিক বাছাইয়ের জন্য নেয়া হবে ৫০ জন, পরে সেখান থেকে সংখ্যা কমিয়ে করা হবে ২০। তাদের জেলা পর্যায়েই ৮ দিন প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্কুল পড়ুয়া ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সীদের প্রাধান্য দেয়া হবে।
প্রতি জেলা থেকে চূড়ান্তভাবে ২ জন করে আর্চার নেয়া হবে। ১২ জেলার ২৪ আর্চার নিয়ে ২২ মে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে আবাসিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শুরু হবে। সেখানে ৩ ধাপে ৬০ দিন প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সোয়েব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়ের লক্ষ্য প্রসঙ্গে বলেছেন, আসলে লক্ষ্যটা বড় থাকলে ভালো লাগে। আমরা যদি বলতাম, অলিম্পিক ব্রোঞ্জ জিততে চাই, সেটা কী শুনতে ভালো লাগতো? তাই আমরা লক্ষ্যটা বড় রেখেছি। এই প্রতিভা অন্বেষণই আমাদের প্রধান কর্মসূচি। আগামীতে আরো জেলা আসবে এ কর্মসূচির আওতায়। আগামী সোমবার থেকে ফরিদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অধীনে ফরিদপুর স্টেডিয়ামে কোচ সাইফ দোহা ও সুকান্ত কুমার বিশ্বাসের তত্বাবধানে শুরু হচ্ছে প্রথম কার্যক্রম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top