বাংলালিংক-এর সহযোগিতায় চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হল জব্বারের বলীখেলার ১০৯তম আসর

আজকের প্রভাত প্রতিবেদক : বাংলাদেশের অন্যতম ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক-এর সহযোগিতায় চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলার ১০৯তম আসর । চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-এর মাননীয় পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহার বিপিএম, পিপিএম। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আ. জ. ম. নাসির উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংক-এর রিজিওনাল ডিরেক্টর সৌমেন মিত্র।
চট্টগ্রাম অঞ্চলকে দ্বিগুণ শক্তিশালী নেটওয়ার্কের আওতায় এনে গ্রাহকদের উন্নততর ডিজিটাল সেবা প্রদান করতে থাকা বাংলালিংক জব্বারের বলীখেলার সাথে যুক্ত হয়েছে এই প্রতিযোগিতার জৌলুস ও আমেজ দ্বিগুণ বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে। নতুন উদ্যম আর উদ্দীপনার সাথে আয়োজিত এবারের জব্বারের বলীখেলা ও তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলায় সমাগম ঘটে হাজার হাজার মানুষের। এবারের রোমাঞ্চকর প্রতিযোগিতায় অসাধারণ নৈপুণ্যে দর্শকদের মুগ্ধ করে বিজয়ী হন চকোরিয়ার তানভীর ইসলাম জীবন । প্রথম পুরষ্কার হিসেবে তিনি জিতে নেন ২০,০০০/-. টাকার প্রাইজমানি। এছাড়া রানার্স আপ জিতে নেন ১৫,০০০/-. টাকার প্রাইজমানি।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র জনাব আ. জ. ম. নাসির উদ্দিন বলেন, ক্রমশ আধুনিক হতে থাকা আমাদের সমাজে অনেক মূল্যবান লোকজ সংস্কৃতি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে নিয়মিতভাবে জব্বারের বলীখেলা আয়োজনের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলালিংক এবারের আয়োজনে যেভাবে সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। দেশের স্বনামধন্য বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলির এ ধরনের সহযোগিতা দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতার-এর সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল বলেন, জব্বারের বলীখেলা চট্টগ্রাম অঞ্চলের এক অমূল্য সাংস্কৃতিক সম্পদ। সময়ের সাথে এই প্রতিযোগিতা হারিয়ে যায়নি, বরং এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রতিযোগিতার ঐতিহ্য সংরক্ষণে আমাদেরকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে। আমি বাংলালিংক-কে এবারের আয়োজনে সহযোগীর ভূমিকা পালনের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। বাংলালিংক-এর সার্বিক সহযোগিতা এবারের প্রতিযোগিতার আমেজে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বাংলালিংক-এর রিজিওনাল ডিরেক্টর সৌমেন মিত্র বলেন, বাংলালিংক-এর ভূমিকা শুধু গ্রাহকদের উন্নত মানের ডিজিটাল সেবা প্রদানের মধ্যে সীমিত নয়। গ্রাহকদের ডিজিটাল সেবা দেওয়ার পাশাপাশি আমরা দেশীয় সংস্কৃতির সংরক্ষণ, প্রচার ও প্রসারে বিশেষ অবদান রাখতে চাই। এই উদ্দেশ্যেই বাংলালিংক জব্বারের বলীখেলার সাথে যুক্ত হয়েছে। দেশব্যাপী এই প্রতিযোগিতার সাংস্কৃতিক গৌরব প্রচারে পূর্বেও ভূমিকা রেখেছে বাংলালিংক।
জব্বারের বলীখেলায় নবম বারের মতো সহযোগীর দায়িত্ব পালন করছে বাংলালিংক। ভবিষ্যতেও এই প্রতিযোগিতার প্রসারে উদ্যোগ গ্রহণ করতে চায় দেশের অন্যতম ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top