নিজস্ব প্রতিবেদক: বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পূর্বঘোষিত সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি। অনুমতি না পাওয়ায় কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি। বুধবার বিকেলে দলের নয়াপল্টন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকায় বিএনপির পক্ষ থেকে ১২ ও ১৯ মার্চ জনসভা করতে আবেদন করা হলেও নিরাপত্তার অজুহাতে অনুমতি দেয়নি ডিএমপি। এরপর আবারও ২৯ মার্চ জনসভা করতে বেশ কয়েকদিন আগে আবেদন করা হয়।
রিজভী বলেন, ‘মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর বিশ্বাস ছিল জনসভার অনুমতি পাওয়া যাবে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন-গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জনসভার অনুমতি দিবে পুলিশ। তার বক্তব্যে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে দেশ চালাচ্ছে পুলিশ। আওয়ামী লীগ ক্ষয়িষ্ণু রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে বলেই দেশটা এখন পুলিশের কব্জায়। অনুমতি না পাওয়ায় ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামীকালের জনসভার কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করা হলো।
তিনি আরও বলেন, সোহরাওয়ার্দীতে জনসভার অনুমতির জন্য অপেক্ষা করলেও এখন পর্যন্ত অনুমতি পাইনি। বিএনপির মতো একটি বৃহৎ দলকে শান্তিপূর্ণ সমাবশের অনুমতি না দেয়া স্বৈরাচারী আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ। অথচ ২৪ মার্চ গণতন্ত্র হত্যার দিনে সরকার প্রধানের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় পার্টিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় গণতন্ত্রকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করা হলো। এছাড়াও সম্প্রতি আওয়ামী জোটের ছোট ছোট অনেক দলকে সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পূর্বঘোষিত ১ এপ্রিলে রাজশাহীতে বিভাগীয় সমাবেশও পেছানো হয়েছে। সমাবেশটি ১৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, আব্দুল আউয়াল, প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব প্রমুখ।