আজকের প্রভাত প্রতিবেদক : দেশের সফটওয়্যার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসে (বেসিস) ২০১৮-২০২০ মেয়াদের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদ এসেছে।
শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বেসিস কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটাভুটির পর সন্ধ্যায় কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান এস এম কামাল ফলাফল ঘোষণা করেন।
কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য হিসেবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- শোয়েব আহমেদ মাসুদ (পরিচালক, বিজনেস অটোমেশন লিমিটেড), লুনা শামসুদ্দোহা (প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, দোহাটেক নিউ মিডিয়া), মোস্তফা রফিকুল ইসলাম (মহাব্যবস্থাপক, ফ্লোরা টেলিকম লিমিটেড), সৈয়দ আলমাস কবীর (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেড), দিদারুল আলম (মহাব্যবস্থাপক, শুটিং স্টার লিমিটেড), মুশফিকুর রহমান (ম্যানেজিং পার্টনার, স্পেকট্রাম সফটওয়্যার অ্যান্ড কনসালটিং লিমিটেড), ফারহানা এ রহমান (চেয়ারপারসন ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউওয়াই সিস্টেমস লিমিটেড), তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন (ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জানালা বাংলাদেশ লিমিটেড), একেএম ফাহিম মাসরুর (পরিচালক, আজকের ডিল ডটকম লিমিটেড)।
তাদের মধ্যে ফাহিম মাসরুর সহযোগী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বাকিরা সাধারণ সদস্য।
আগামী ২ এপ্রিল বেলা সাড়ে ৩টায় নির্বাচিত নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে নির্বাচিত পরিষদ সদস্যরা ২০১৮-২০২০ মেয়াদের জন্য সভাপতি, সহ-সভাপতি নির্বাচন করবেন।
কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা হয়েছিল এর আগে। সংগঠনের সদস্য মধুমতি টেকের স্বত্বাধিকারী রকিবুল মিনাসহ ১১ জনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২২ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগের এক চিঠিতে ছয় মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিত করার কথা জানানো হয়। পাশাপাশি বর্তমান কমিটিকে এই সময়ে দায়িত্বে থাকতে বলা হয়।
চিঠিতে বেসিসের গঠনতন্ত্র সংশোধনের অনুলিপি যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরে (আরজেএসসি) ও মন্ত্রণালয়ে জমা না দেওয়া এবং বেসিসের অফিসিয়াল লোগো না পরিবর্তন করার অভিযোগ আনা হয়েছিল বলে সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর জানিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে ২৭ মার্চ নির্বাচনের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে তারা বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলে দুই মন্ত্রীর আলোচনার প্রেক্ষিতে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলে নির্বাচন নিয়ে জটিলতার অবসান হয়।
শনিবার নির্বাচনে নারী উদ্যোক্তা লুনা শামসুদ্দোহার নেতৃত্বে ‘প্যানেল উইন্ড অব চেইঞ্জ’, মোস্তাফা রফিকুল ইসলামের ডিউকের নেতৃত্বে প্যানেল ‘টিম বিজয়’ এবং বর্তমান সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের নেতৃত্বে ‘টিম হরাইজন’ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
মোস্তাফা জব্বার টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর সভাপতের দায়িত্বে আসেন সৈয়দ আলমাস কবীর।
গত ৪ মার্চ বেসিস নির্বাচন বোর্ড প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। নির্বাচনে অংশ নিতে সাধারণ সদস্য ক্যাটাগরিতে ৩৪ এবং সহযোগী সদস্য পদে ছয়জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার পর নির্বাচনে তিন প্যানেল থেকে সাধারণ প্রার্থী হিসেবে ২৬ জন এবং সহযোগী প্রার্থী হিসেবে পাঁচজন অংশ নেন।