আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে কাজ করছে রাশিয়া। বিবদমান পক্ষগুলোকে নিয়ে শান্তি আলোচনার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটাতে চায় দেশটি।
এ অবস্থায় দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দাবি করেছে রাশিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিনিধি আলেক্সান্ডার লেভেন্তেরিভ সম্প্রতি সিরিয়ায় মার্কিন সেনার উপস্থিতি বন্ধের সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনা উপস্থিতির বিষয়ে ওয়াশিংটনের ব্যাখ্যা ও দাবি ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন।
কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানাতে ইরান ও তুরস্ককে সঙ্গী করে নতুন করে সিরিয়ার শান্তি আলোচনা আয়োজনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
লেভেন্তেরেভ বলেন, যে কোনো কারণ দেখিয়ে সিরিয়ায় নিজেদের সেনা উপস্থিতির পক্ষে মার্কিন ব্যাখ্যা মূলত অজুহাত বই কিছু নয়। আমরা মনে করি, তাদের সেনাদের এখন সিরিয়া থেকে সরিয়ে নেয়ার সময় হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আস্তানায় আমরা যে আলোচনা শুরু করেছি, তা সিরিয়ার বিভিন্ন বিবদমান পক্ষগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে শান্তি আলোচনা শুরু করার প্রাথমিক ধাপ। আগামী বছরে এই শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
সিরিয়ায় আইএসবিরোধী যুদ্ধের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনী প্রেরণ করে যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়ার আসাদবিরোধী কুর্দিদের নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের সঙ্গী হয়ে তারা লড়াই করছে।
গত মাসে আইএসের হাত থেকে রাক্কা পুনরুদ্ধারের পর চারশ মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয় বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। তাদের তথ্যমতে, এখন সিরিয়ায় পাঁচ শতাধিক মার্কিন সেনা রয়েছে। তবে মার্কিন প্রশাসনের তথ্যমতে, সেখানে দুই হাজারের বেশি সেনাসদস্য রয়েছেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার এ আহ্বানের সমালোচনা করে বলেছে, তারা সিরিয়া ছাড়ার ঘোষণা দিলেও তা এখনও প্রতীয়মান হয়নি। আগে তারা সত্যিকারভাবে সরে যাওয়ার কাজ করুক। যুক্তরাষ্ট্রও তাদের কাজ করবে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রেট ম্যাকগার্ক বলেন, আমি মনে করি রাশিয়ান সেনাদের ফেরত যাওয়ার বদলে সিরিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ উপস্থিতিই থাকবে।
